মুম্বই: ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে কৌতুকশিল্পী কুনাল কামরার বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রে আরও তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, শিন্ডেকে ‘গদ্দার’ (বিশ্বাসঘাতক) বলে অভিহিত করে কামরা বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।
তিনটি নতুন এফআইআর মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে দায়ের করা হয় এবং শুক্রবার সেই সব মামলা তদন্তের জন্য খার থানায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে।
খার থানার তদন্ত
খার থানায় ইতিমধ্যেই কুনাল কামরার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা চলছে এবং তদন্তের জন্য কামরাকে দুইবার সমন পাঠানো হয়েছে। তবে কামরা তদন্তে উপস্থিত হতে এক সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন, যা পুলিস প্রত্যাখ্যান করে।
শুক্রবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন পেয়েছেন কামরা। জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
তিনটি নতুন এফআইআর
নতুন এফআইআরগুলো দায়ের করেছেন শিবসেনার সদস্যরা। নাসিকের মানমাদের ময়ূর বরসে, বুলধানার জলগাঁও জামোদের সঞ্জয় ভুজবল এবং নাসিকের নান্দগাঁও মানমাদের সুনীল যাদব অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, কুনাল কামরা ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের নৈতিক চরিত্রকে ক্ষুণ্ন করেছেন এবং দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঘৃণা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। ভারতীয় ন্যায় সনহিতার ৩৫৩(১)(বি), ৩৫৩(২) (গণউস্কানি), এবং ৩৫৬(২) (মানহানি) ধারায় মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে।
স্ট্যান্ড-আপ কমেডি থেকে বিতর্ক
গেল ফেব্রুয়ারিতে খার-এর হোটেল ইউনিকন্টিনেন্টালের হ্যাবিট্যাট স্টুডিওতে কামরার স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শো ‘নয়া ভারত’ থেকে এই বিতর্কের সূত্রপাত। শো-এর একটি ভিডিও কামরা ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর শিবসেনার কর্মীরা স্টুডিওতে ভাঙচুর করে।
খার পুলিস নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে শিবসেনা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং ১২ জনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
পুলিসের অবস্থান
মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ায় কামরার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে। তবে নতুন মামলাগুলির বিষয়ে মুম্বই পুলিস দ্রুত সমন জারি করতে পারে।
এই ঘটনা নিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কমেডি শো-এর কন্টেন্ট নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থাকলেও, কামরা তার মন্তব্যের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন।