কলকাতা: লোকসভা ভোট আসন্ন। চলছে যাবতীয় প্রস্তুতি। তবে এখনও কমিশনের তরফে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়নি। এরই মধ্যে সূত্রের খবর, ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই রাজ্যে আসতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর।
সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাবে। এ বার জেলাশাসকদের কাছে বেশ কিছু তালিকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেকটি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে কতগুলো স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে? কতগুলো অঞ্চল স্পর্শকাতর? সেই তথ্য চাওয়া হয়েছে।
কয়েক দিন আগেই জানা যায়, আসন্ন ভোটের জন্য দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা প্রয়োজন, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের মতামত জানতে চেয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, আধিকারিকেরা যা রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বাহিনীর জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে পাঠানো চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা ভোটে বাংলায় তারা ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চায়। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে লোকসভা ভোট করানোর জন্য ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন। শুধু তাই নয়, জম্মু এবং কাশ্মীরের জন্য যত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে, তারও দেড় গুণ বাহিনী পশ্চিমবঙ্গে পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করানোর জন্য ৬৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে। এমনকী সবচেয়ে বড়ো রাজ্য উত্তরপ্রদেশের জন্য কমিশন চেয়েছে ২৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। অন্য দিকে, কংগ্রেস বা বামেদের বক্তব্য, শুধু বাহিনী মোতায়েন করলেই হবে না, তারা যাতে সক্রিয় থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। শাসকদল তৃণমূল অবশ্য এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ। পুরোটাই প্রশাসনিক বিষয় বলে এড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত,২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৭৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল এ রাজ্যে। হিসেব মতো দেখতে গেলে, এবার প্রায় ২০০-র কাছাকাছি অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। শুধু তাই নয়, দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে সর্বাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাতেই।