খবর অনলাইনডেস্ক: মহাজুটির কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পর মহাবিকাশ আঘাড়ীর কাছে এ বার আরও খারাপ খবর আসতে চলেছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এ বার বিরোধী দলনেতার পদ কি আদৌ থাকবে? ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা পদের জন্য কোনো একটি দলকে মোট আসনের ১০ শতাংশ অর্থাৎ ২৯টি আসন পেতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধী শিবিরের কোনো দলই সেই জায়গায় নেই।
নির্বাচন কমিশনের সর্ব শেষ তথ্য অনুসারে, শনিবার রাত পর্যন্ত শিবসেনা (উদ্ধব) এখনও পর্যন্ত জয়ী হয়েছে ২০ আসনে। কংগ্রেস জিতেছে ১০টি আসনে, এগিয়ে পাঁচটি আসনে। এনসিপি (শরদ) জয়ী হয়েছে ১০টি আসনে। অঙ্কের হিসাবে বিরোধী দলনেতার পদ দাবি করার ধারেকাছে নেই ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র কোনো দল।
‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’ মিলিত ভাবে ২৯ আসনের বেশি আসনেই জয়ী হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে, তা বিরোধী দলনেতার পদ দাবি করার জন্য যথেষ্ট নয়। বিরোধী দলনেতা পদের জন্য কোনো একটি দলকে একক ভাবে সাংবিধানিক শর্ত পূরণ করতে হবে। ‘জোট’ হিসাবে কখনওই নয়।
বিরোধী দলনেতার আসন শূন্য রেখে বিধানসভা বা লোকসভা চালানোর নজির অতীতেও রয়েছে। যেমন কেন্দ্রে মোদী সরকারের প্রথম এক দশকে লোকসভায় কোনো বিরোধী দলনেতা ছিলেন না। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে সেই পদ ফিরেছে লোকসভায়। বর্তমানে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এ ছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, গুজরাত, মণিপুর, সিকিম এবং নাগাল্যান্ডেও অতীতে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার পদ শূন্য থাকতে দেখা গিয়েছে।