মণিপুরে দফায় দফায় অশান্তি, সংঘর্ষে কমপক্ষে প্রায় ৭০ জনের মৃত্যু। আহত কয়েকশো সাধারণ মানুষ। যত দিন যাচ্ছে, ততই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। রাজনৈতিক দলগুলিকে অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের।
সরকারি সূত্র বলছে, শনিবার পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় মারা গিয়েছেন ৫৪ জন। বেসরকারি মতে সংখ্যাটা প্রায় ৭০। আহত শতাধিক। তিনদিন কেটে গেলেও অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। রাজধানী ইম্ফল খানিক শান্ত হলেও চূড়াচাঁদপুর এবং বিষ্ণুপুরের মতো জেলা এখনও উত্তপ্ত।
বাধ্য হয়ে শুক্রবার রাতেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সংবিধানের ৩৫৫ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে নিয়েছে কেন্দ্র। তাতেও লাভ হয়েছে সামান্য। ফের নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে কয়েক জায়গায়। চূড়াচাঁদপুর এবং বিষ্ণুপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ের খবর এসেছে। শয়ে শয়ে বাড়ি ও দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আরও নিরাপত্তা বাহিনী আনা হচ্ছে রাজ্যে। অন্যদিকে, রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে শনিবারই সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে হিংসার সূত্রপাত। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় তফসিলি জনজাতি (এসটি) তকমার দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের দাবির বিরোধিতা করে মণিপুরি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর তরফে বুধবার একটি মিছিল বার করা হয়েছিল। সেখান থেকেই সংঘাতের সূচনা।
মণিপুরে অশান্তিতে বাংলার অনেকে আটকে পড়েছেন। এই পরিস্থিতে তাঁদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সে রাজ্যের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে আটকে পড়া বাংলা বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: বিরাটদের বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল সৌরভের দিল্লি