প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর প্রয়াণের পর শনিবার তাঁর অন্ত্যেষ্টির আগে স্মৃতিসৌধ গঠনের প্রস্তাব নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিতর্কে এবার কংগ্রেস বিরুদ্ধে স্মৃতিসৌধ করা নিয়ে ‘নোংরা রাজনীতি’র অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির।
বৃহস্পতিবার দিল্লির এইমস হাসপাতালে ৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ করে, যেখানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে, সেই স্থানে মনমোহন সিং-এর স্মৃতিসৌধ গঠনের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের অন্ত্যেষ্টি স্থানে স্মৃতিসৌধ গঠনের ঐতিহ্য বজায় রাখতেই এই প্রস্তাব।”
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, মনমোহ সিং-এর স্মৃতিসৌধ গঠনের জন্য স্থান বরাদ্দ করা হবে। তবে এর মধ্যেই অন্ত্যেষ্টি ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
অন্য দিকে, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেন, “স্মৃতিসৌধের জন্য স্থান খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি জনগণের কাছে অপমানজনক। এটি দেশের প্রথম শিখ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অসম্মান।”
বিজেপি পাল্টা কংগ্রেসকে “নোংরা রাজনীতি” না করার পরামর্শ দিয়েছে। তারা উল্লেখ করে, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও-এর মৃত্যুর পর কংগ্রেস তাঁর প্রতি যে ব্যবহার করেছিল, তা সবাই জানে। এমনকি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কন্যাও টুইটে কংগ্রেসের আচরণের সমালোচনা করেছিলেন।”
মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও তিনি রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর এবং নরসিমা রাও সরকারের অধীনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তাঁর মরদেহ শনিবার সকাল ৮:৩০ থেকে এক ঘণ্টার জন্য এআইসিসি সদর দপ্তরে রাখা হবে, যাতে জনগণ এবং কংগ্রেস কর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। এরপর তাঁর মরদেহ ৯:৩০-এ যাত্রা করে ১১:৪৫-এ নিগমবোধ ঘাটে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।