বাড়তি নম্বর বা গ্রেস মার্ক পেয়েছেন, এমন ১ হাজার ৫৬৩ জন নিট (NEET UG 2024) পরীক্ষার্থীর জন্য আবারও পরীক্ষার আয়োজন করেছে জাতীয় পরীক্ষক সংস্থা (NTA)। পরীক্ষা আগামী ২৩ জুন। অ্যাডমিট কার্ডও প্রকাশ করা হয়েছে। এই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে আগামী ৩০ জুন। তবে, এটি একটি সম্ভাব্য তারিখ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বদলে যেতেও পারে। কিন্তু এই পরীক্ষা নিয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে, তা হল পুনরায় পরীক্ষায় বসার জন্য কি ফি দিতে হবে?
পুনরায় পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের আর ফি দিতে হবে না। এই সংক্রান্ত জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ফি নিয়ে কোনো উল্লেখ নেই। প্রার্থীরা শুধুমাত্র পুরনো ফি-এর ভিত্তিতে আবার পরীক্ষায় বসতে পারবেন। কারণ, এই পুরো বিষয়টিতে, পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো ভুল হয়নি, তাই তাঁদের নতুন করে ফি দিতে হবে না।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি একটি আকস্মিক ঘটনা এবং পূর্ব-নির্ধারিত প্রক্রিয়া নয়। যে কারণে ফি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। প্রার্থীরা যদি এনটিএ-র দেওয়া কোনো সুবিধা নিতে চায়, তবে তাঁদের ফর্মটি পূরণ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়, কিন্তু এখানে তেমন কিছু নেই।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, এই পরীক্ষার ঘোষণার পরই জল্পনা শুরু হয়েছে যে নিট-র মেধাতালিকাও বদলে যাবে। বাদ পড়তে পারে কমপক্ষে ৬ জন কৃতী পড়ুয়ার নাম। এই পড়ুয়ারা গ্রেস মার্কসের দৌলতেই মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে, নতুন করে পরীক্ষা হলে শুধুমাত্র যাঁরা পরীক্ষা দিচ্ছেন, মেধাতালিকায় তাঁদের অবস্থান প্রভাবিত হবে, তেমনটা নয়। এই ১ হাজার ৫৬৩ জনের বাইরেও যাঁরা টপার বা যাঁরা নীচের দিকে রয়েছেন, তাঁদের অবস্থানেও পরিবর্তন আসবে। অর্থাৎ, কমবেশি সকলেই এই পুনরায় পরীক্ষার ফলে প্রভাবিত হতে পারেন।
বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এবং পরীক্ষা আবার অনুষ্ঠিত হলে নম্বর একই থাকবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত জোর করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত যে, ভবিষ্যতে এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রতি জনগণের আস্থা টলে যাবে। এনটিএ যদি আদালতে ‘স্বচ্ছ’ প্রমাণিত হয়, তবে সেটা আলাদা বিষয়। অন্যথায় যাঁরা এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তাঁরা শুধুমাত্র এখনই চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন, সেটা নয়। তাঁরা ভবিষ্যতেও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার একদিন পরেই ইউজিসি-নেট বাতিল, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ শিক্ষা মন্ত্রকের