বিহারের রাজনীতিতে নীতীশ কুমার এক অনন্য ব্যতিক্রমী মুখ। রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী হলেও তিনি শেষবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৮৫ সালে। এরপর দীর্ঘ প্রায় চার দশকে মাত্র একবার— ১৯৯৫ সালে হারনৌত কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন বিধানসভা নির্বাচন; তবে সেই আসনও তিনি ধরে রাখতে পারেননি। তবুও রাজনীতিতে তাঁর অবস্থান এতটুকুও নড়েনি।
বিধান পরিষদ ভিত্তি
১৯৯৫-এর পর নীতীশ কুমার আর কখনও বিধানসভা ভোটে লড়েননি। এর বদলে তিনি বিহার বিধান পরিষদের সদস্য হয়েই তাঁর রাজনৈতিক সক্রিয়তা বজায় রেখেছেন। প্রায় ৩০ বছর ধরে এই পরিষদের পথই তাঁকে রাজনীতির কেন্দ্রে রেখেছে এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে টানা ক্ষমতায় থাকার পথ সুগম করেছে।
এই সিদ্ধান্ত কেবল কৌশলগত নয়, রাজনৈতিক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ— কারণ বিধানসভায় সরাসরি লড়াই না করেও তিনি রাজ্যের বাস্তব ক্ষমতাকেন্দ্র হিসেবে নিজের অবস্থান বজায় রাখতে পেরেছেন।
রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে সমান দাপট
শুধু রাজ্যের রাজনীতি নয়, জাতীয় মঞ্চেও নীতীশ কুমারের উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত প্রভাবশালী। তিনি এখন পর্যন্ত ছয়বার লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন, যা তাঁর রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার পরিচায়ক।
নীতীশের ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক পথচলা
বিধানসভায় না লড়েও তিন দশক ধরে বিহারের প্রশাসনের চালক ছিলেন নীতীশ কুমার। তাঁর রাজনৈতিক কৌশল, জোট-ব্যবস্থাপনা আর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বলছে— আগামী দিনেও বিহারের ক্ষমতার কেন্দ্রে নীতীশ কুমারই থাকবেন।
আরও পড়ুন: বিহারের ফল প্রকাশের পর মুখ খুলল জনসুরাজ, হারের কী ব্যাখ্যা দিল দল, রাজনীতি কি ছাড়বেন পিকে?


