এক চমকপ্রদ রাজনৈতিক পরিবর্তন! মণিপুরের এন বিরেন সিং-এর বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার নীতীশ কুমার নেতৃত্বাধীন জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর। দলের একমাত্র বিধায়ক এখন থেকে বিধানসভায় বিরোধী শিবিরে বসবেন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এতে রাজ্যের সরকারের স্থিতিশীলতায় কোনও প্রভাব পড়বে না, তবে এটি বিজেপির জন্য একটি বড় রাজনৈতিক বার্তা। কারণ, জেডিইউ কেন্দ্র ও বিহারে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ জোটসঙ্গী। এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এল, যখন কয়েক মাস আগেই মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টিও (NPP) মণিপুরের বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন সরিয়ে নিয়েছিল।
২০২২ সালের মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ ছয়টি আসনে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের কিছুদিন পরেই দলের পাঁচজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। যার ফলে রাজ্যের ক্ষমতা আরও দৃঢ় হয় বিজেপির হাতে। বর্তমানে ৬০ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির ৩৭ জন বিধায়ক রয়েছেন। এ ছাড়া নাগা পিপলস ফ্রন্টের পাঁচজন এবং তিনজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন থাকায় বিজেপি সরকার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে।
মণিপুরে জেডিইউ সভাপতি কেশ বীরেন সিং রাজ্যের রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লাকে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ ছয়টি আসন জিতেছিল। কিন্তু কয়েক মাস পর দলের পাঁচজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন, যা এখনও স্পিকারের ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এরপর থেকেই ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের অংশ হওয়ার কারণে বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে জেডিইউ।”
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “জেডিইউ বিধায়ক আবদুল নাসিরের জন্য গত বিধানসভা অধিবেশনে স্পিকার বিরোধী বেঞ্চে বসার ব্যবস্থা করেছিলেন। মণিপুর ইউনিট স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, রাজ্যে বিজেপি সরকারকে আমরা সমর্থন করি না এবং আমাদের একমাত্র বিধায়ককে বিরোধী বিধায়ক হিসেবে গণ্য করতে হবে।”