Home খবর দেশ জনস্বার্থের নামে সমস্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া যাবে না, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম...

জনস্বার্থের নামে সমস্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া যাবে না, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

0

আজ, মঙ্গলবার ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, প্রতিটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি ‘কমিউনিটি রিসোর্স’ হিসেবে গণ্য নয়। ফলে সমস্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে জনস্বার্থে রাষ্ট্র অধিগ্রহণ করতে পারে না সরকার।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন নয়-সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ৮-১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এই ঐতিহাসিক রায় প্রদান করল এ দিন। গত ১ মে বেঞ্চ নিজের রায় সংরক্ষিত করার পরে মঙ্গলবারের শুনানি হয়৷

রায়ে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে বলেছে যে, ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃত এবং তা শুধুমাত্র জনকল্যাণের নামে সহজে কেড়ে নেওয়া যায় না। সর্বোচ্চ আদালত বলেছে যে কিছু ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধারা ৩৯(বি)-এর অধীনে আসতে পারে যদি সেগুলি প্রাসঙ্গিক এবং সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়।

আদালতের মতে, যে সম্পত্তি সরাসরি জনস্বার্থের জন্য অপরিহার্য নয়, তা ‘কমিউনিটি রিসোর্স’ বলে বিবেচিত হবে না।

এই মামলায় রায় ঘোষণায় নয়-সদস্যের বেঞ্চে ছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি হৃষীকেশ রায়, বিভি নাগারত্ন, সুধাংশু ধুলিয়া, জেবি পারদিওয়ালা, মনোজ মিশ্র, রাজেশ বিন্দাল, সতীশচন্দ্র শর্মা এবং অগাস্টিন জর্জ মসিহ।

প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র হাউজিং অ্যান্ড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৭৬-এর অষ্টম অধ্যায়ের সাংবিধানিকতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুম্বইয়ের সম্পত্তি মালিক সমিতি এই মামলা দায়ের করে। এই অধ্যায়টি রাষ্ট্রকে মাসিক খাজনার একশো গুণ ক্ষতিপূরণ দিয়ে ব্যক্তিগত সম্পত্তি অর্জনের অনুমতি দেয়। পিটিশনগুলি প্রাথমিকভাবে ১৯৯২ সালে দায়ের করা হয়েছিল এবং ২০০২ সালে নয় বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানো হয়েছিল। অবশেষে দুই দশকেরও বেশি সময় পরে ২০২৪ সালে শুনানি হয়। এবং তার পর এই ঐতিহাসিক রায়।

আরও পড়ুন: ‘মন্দিরে ক্ষমা চান, না হলে ৫ কোটি অথবা মৃত্যু’, ফের সলমানকে হুমকি ম্যাসেজ বিষ্ণোই গ্যাং-এর

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version