কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিদমনে বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার। পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান মুসাকে খতম করল সেনা। সোমবার শ্রীনগরের হরওয়ানে দাচিগাম জঙ্গলে টানা সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়, যাদের মধ্যে অন্যতম ছিল মুসা। এই এনকাউন্টারকে ঘিরে এখনও চলছে ‘অপারেশন মহাদেব’। সেনা সূত্রে খবর, নিহতদের মধ্যে দু’জন বিদেশি জঙ্গি।
চিনার কোরের তরফে জানানো হয়েছে, “তীব্র গুলির লড়াইয়ে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে।”
কে এই হাশিম মুসা?
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, হাশিম মুসা পাকিস্তান সেনার বিশেষ বাহিনী স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপ (SSG)-এর প্রাক্তন প্যারা কমান্ডো ছিল। সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর সে যোগ দেয় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার (LeT) সঙ্গে।
পহেলগাঁও হামলার তদন্তে ধৃত ১৪ জন কাশ্মীরি ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার (OGW)-এর একজন মুসার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। তারা জানায়, মুসা কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য লস্করকে কৌশলগতভাবে মদত দিচ্ছিল।
মুসা ছিল গেরিলা কৌশল ও গোপন অপারেশনের বিশেষজ্ঞ। তার ট্রেনিংয়ের অংশ ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র চালানো, হ্যান্ড-টু-হ্যান্ড কমব্যাট, ও দুর্ধর্ষ টার্গেট অ্যাসাসিনেশন।
কীভাবে ধরা পড়ল মুসা?
সূত্রের দাবি, স্থানীয় এক গুর্জ্জর যাযাবর সম্প্রদায়ের সদস্যরা সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে জঙ্গিদের গতিবিধি সম্পর্কে জানায়। টানা ১৪ দিন ধরে সেনা, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী নজরে রেখেছিল মুসাদের। শেষে সোমবার সকালে দাচিগামের জঙ্গলে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে অভিযান শুরু হয়।
এই অভিযানের মাধ্যমেই সেনা একদিকে যেমন বড় সাফল্য পেল, তেমনই কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্র।