Homeখবরদেশসংসদে সংঘর্ষ! বিজেপির এফআইআর, কংগ্রেসের অভিযোগ তদন্ত করবে ক্রাইম ব্রাঞ্চ

সংসদে সংঘর্ষ! বিজেপির এফআইআর, কংগ্রেসের অভিযোগ তদন্ত করবে ক্রাইম ব্রাঞ্চ

প্রকাশিত

নয়াদিল্লি: সংসদ চত্বরে ঘটে যাওয়া তুমুল গন্ডগোলের ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সেই এফআইআর স্থানান্তরিত করা হয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, রাহুল গান্ধী এমন একটি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত যেখানে দুই বিজেপি সাংসদ আহত হয়েছেন। ভারতের নতুন দণ্ডবিধি (বিএনএস)-র ধারাগুলির অধীনে দায়ের হয়েছে ওই এফআইআর। যা গুরুতর আঘাত, অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ এবং হুমকির অভিযোগে দায়ের করা হয়।

ডিসিপি (ক্রাইম) সঞ্জয় কুমার সাঁই জানিয়েছেন, এসিপি রমেশ লাম্বার নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল এই মামলার তদন্ত করবে।

অন্যদিকে, কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে বিজেপি সাংসদরা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে মাটিতে ফেলে দেন। এই ঘটনায় আহত হন কংগ্রেস সভাপতি। এই অভিযোগও তদন্তের জন্য ক্রাইম ব্রাঞ্চে হস্তান্তরিত হয়েছে।

সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার দিন বিজেপি-র বিরুদ্ধে সংসদে কাজকর্ম বিঘ্নিত করার অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। দলের নেতা প্রমোদ তিওয়ারি দাবি করেন, “এ ধরনের ঘটনা গণতন্ত্রের ইতিহাসে প্রথম, যখন শাসকদলই সংসদ চালাতে দেয়নি।”

সংসদের সংঘর্ষের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবিও জানান তিনি। একই সঙ্গে, বিজেপি সাংসদদের বিরুদ্ধে মহিলা কংগ্রেস সাংসদদের উপর বলপ্রয়োগের অভিযোগ আনেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ।

অন্য দিকে, রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে লোকসভায় স্বাধীকারভঙ্গের নোটিশ দাখিল করেছেন বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে। অভিযোগ, তাঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বক্তব্যের একটি “সম্পাদিত” ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই পদক্ষেপে তাঁরা দেশে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চেয়েছেন।

অধিবেশন শেষে কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদরা স্পিকার ওম বিড়লার আয়োজিত চা-বৈঠক বয়কট করেন। তবে রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদরা চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে চা-বৈঠকে যোগ দেন।

কংগ্রেস দাবি করেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মন্তব্য সংবিধান প্রণেতা ড. বি আর অম্বেডকরকে অপমান করেছে। তাঁরা শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সংবিধান-বিতর্কে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে শাহ বলেন, ‘‘এখন এক ফ্যাশন হয়েছে— অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর। এত বার যদি ভগবানের নাম নিত তবে সাত জন্ম স্বর্গবাস হত।” শাহের এই মন্তব্য নিয়েই তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায় সংসদে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়ুন নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে:

সংসদ চত্বরে ধাক্কাধাক্কি, তীব্র চাপানউতোর বিজেপি-কংগ্রেসের

‘দৃষ্টি ঘোরানোর কৌশল’, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর-এর প্রতিক্রিয়ায় বলল কংগ্রেস

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

বুথভিত্তিক তুলনায় মিল মাত্র ৫৫%! এসআইআরে নাম কাটা যেতে পারে প্রায় ১ কোটি ভোটারের

২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার মিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এসআইআরের পর প্রায় ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের। জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

নেলি হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট প্রকাশের সিদ্ধান্তে বিতর্ক: চার দশক পর নতুন করে উদ্বেগ ও আশঙ্কা

অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: অসম সরকার ১৯৮৩ সালের ভয়াবহ নেলি গণহত্যার তিওয়ারি কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের...