দেশের ৬০টি ব্যস্ত রেলস্টেশনের বাইরে স্থায়ী প্রতীক্ষালয় নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেলমন্ত্রক। মহাকুম্ভের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যা ভিড় নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের নেতৃত্বে একটি উচ্চস্তরের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উৎসবের সময় ও মহাকুম্ভের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে, যেসব স্টেশনে নিয়মিত ভিড় বেশি হয়, সেখানে স্থায়ী প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হবে। এর পাইলট প্রকল্প ইতিমধ্যে দিল্লি, আনন্দ বিহার, বারাণসী, অযোধ্যা এবং পটনা স্টেশনে শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র ট্রেন প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর পরই যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, যা স্টেশনের ভিড় কমাবে।
এই ৬০টি স্টেশনে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। শুধুমাত্র নিশ্চিত সংরক্ষিত টিকিট থাকা যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে এবং সমস্ত অননুমোদিত প্রবেশপথ বন্ধ করা হবে।
এই বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুটি নতুন ডিজাইনের ফুট ওভারব্রিজ (FOB) তৈরি করা হবে, যার প্রস্থ হবে যথাক্রমে ১২ মিটার (৪০ ফুট) এবং ৬ মিটার (২০ ফুট)। মহাকুম্ভে এই ধরনের চওড়া এফওবি ও র্যাম্প ভিড় নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এই নতুন ডিজাইনের এফওবি প্রতিটি স্টেশনে স্থাপন করা হবে।
মহাকুম্ভের সময় ক্যামেরার মাধ্যমে ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক সাহায্য পাওয়া গিয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রতিটি স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় বড় সংখ্যক ক্যামেরা বসানো হবে, যাতে ভিড় পর্যবেক্ষণ করা যায়।
এ ছাড়াও বড় স্টেশনগুলিতে ‘ওয়ার রুম’ তৈরি করা হবে, যেখানে বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা একসঙ্গে কাজ করবেন এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেবেন।
প্রত্যেক বড় স্টেশনে একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক ‘স্টেশন ডিরেক্টর’ হিসাবে নিয়োগ করা হবে। স্টেশন ডিরেক্টরকে আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হবে, যাতে তিনি তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে স্টেশনের পরিস্থিতি উন্নত করতে পারেন।
পাশাপাশি, স্টেশনের ধারণক্ষমতা এবং সম্ভাব্য ট্রেন অনুযায়ী টিকিট বিক্রি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও পাবেন ওই স্টেশন ডিরেক্টর।