নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রায় ৫১ হাজার নতুন কর্মপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই উপলক্ষে নবনিযুক্ত কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণও দেন প্রধানমন্ত্রী।
নিয়োগপ্রাপ্তদের বিভিন্ন সরকারি বিভাগে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানটি নয়াদিল্লির রাইসিনা রোডে অবস্থিত ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত হয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তদের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, নিয়োগপ্রাপ্তরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করেছেন। এ বার নবনিযুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে তরুণীর সংখ্যা বেশি, যা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরালো উদাহরণ। ভারতের অর্থনীতিও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা তরুণ-তরুণদের জন্য অনেক বড় বড়ো সুযোগ নিয়ে আসবে।
এ দিন আয়োজিত ‘রোজগার মেলা’র আওতায় দেশের বিভিন্ন এলাকার ৫১ হাজার তরুণ-তরুণীকে চাকরিতে যোগদানের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ৪৬টি স্থানে রোজগার মেলার আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগ ছাড়াও, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্যও নিয়োগ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, এই ‘রোজগার মেলা’ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণের একটি পদক্ষেপ। চাকরি মেলা আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। তরুণদের ক্ষমতায়ন ও জাতীয় উন্নয়নে অংশগ্রহণের জন্য অর্থবহ সুযোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ দিন মোদী যে ৫১ হাজার জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেলেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে বিভিন্ন দফতরে চাকরি পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত বিভিন্ন দফতরে যে সব নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়, তার মাধ্যমেই চাকরি পেয়েছেন তাঁরা।
সরকারি চাকরি পাওয়া ৫১ হাজারের বেশি জনকে ডাক বিভাগ, ভারতীয় অডিট এবং অ্যাকাউন্টস বিভাগ, পরমাণু শক্তি বিভাগ, রাজস্ব বিভাগ, উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং অন্যান্য বিভাগে যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।
গত বছর থেকে বিভিন্ন সরকারি বিভাগ এবং মন্ত্রকে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। বেকারত্ব ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে লাগাতার নিশানা করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগের সদিচ্ছা নেই বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। এমন পরিস্থিতিতে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করে সেই সমালোচনার জবাব দিতে চান প্রধানমন্ত্রী।
গত ২৮ আগস্ট পর্যন্ত আটটি রোজগার মেলার আওতায় সাড়ে পাঁচ লক্ষের বেশি কর্মপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র বিতরণ করা হয়েছিল। আজ পর্যন্ত (২৬ সেপ্টেম্বর) সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৬ লক্ষের গণ্ডি।
আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গ ছাড়ল এআইএডিএমকে, ২০২৪-এ আলাদা ফ্রন্ট গড়বে