সুরাত: ২০১৯ সালের একটি মানহানির মামলায় সোমবার জামিন মিলল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে তার আবেদনের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত দু’বছরের কারাদণ্ডও স্থগিত করা হয়েছে আদালতে। গুজরাতের একটি আদালত জানিয়েছে, আগামী ১৩ এপ্রিল রাহুলের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না।
মোদী পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার দায়ে মানহানির মামলায় রাহুলকে দু’বছরের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। রাহুলের বিরুদ্ধে যে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক এবং গুজরাত সরকারের মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদী মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তাঁকে ১০ এপ্রিলের মধ্যে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং তিনজন মুখ্যমন্ত্রী সহ-অন্য কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে এ দিন সুরাতের দায়রা আদালতে পৌঁছোন রাহুল গান্ধী। আদালতের নির্দেশ,পরবর্তী শুনানির জন্য প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে আদালতে হাজির হতে হবে না।
আদালতের নির্দেশের পর ক্ষমতাসীন বিজেপিকে নিশানা করে টুইটারে রাহুল লেখেন, তিনি “মিত্রকাল”-এর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। বিরোধীদের হয়রানি করার জন্য সরকারি সংস্থার অপব্যবহার করার অভিযোগে কেন্দ্রের শাসকদলকে আক্রমণ করেন তিনি। রাহুল লেখেন, “এটা ‘মিত্রকাল’-এর বিরুদ্ধে গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই। এই সংগ্রামে, সত্যই আমার অস্ত্র, এবং সত্যই আমার সমর্থন”।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে অপরাধমূলক মানহানির মামলায় গুজরাতের সুরাত জেলা আদালত দু’বছরের সাজা দেয় রাহুল গান্ধীকে। সাজা ঘোষণার পর থেকেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। এর পর তাঁর সাংসদপদ খারিজ করায় সেই ক্ষোভে ঘৃতিহুতি ঘটে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারায় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ থেকে বৈঠক শুরু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের, ফের সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা