মুদ্রাস্ফীতি এবং দুর্বল জিডিপি বৃদ্ধির পরিসংখ্যানের মধ্যে শুক্রবার রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখে ৬.৫ শতাংশে স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, মুদ্রানীতি কমিটির (এমপিসি) সদস্যদের মধ্যে ৪:২ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গভর্নর বলেন, “নীতি রেপো রেট ৬.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুদ্রানীতি কমিটি। স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) রেট ৬.২৫ শতাংশ এবং মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফ্যাসিলিটি (এমএসএফ) রেট এবং ব্যাংক রেট ৬.৭৫ শতাংশে থাকবে।”
আরবিআই নিজের নিরপেক্ষ মুদ্রানীতির অবস্থান বজায় রাখার ঘোষণা করেছে। শক্তিকান্ত দাস জানান, মুদ্রানীতির প্রভাব বিস্তৃত এবং মূল্য স্থিতিশীলতা প্রতিটি অংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে মুদ্রাস্ফীতি কমানোর শেষ ধাপটি বেশ কঠিন ও সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চলতি আর্থিক বছরে খুচরা মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস ৪.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪.৮ শতাংশ করা হয়েছে। অক্টোবরের মুদ্রানীতির পর থেকেই স্বল্পমেয়াদি মুদ্রাস্ফীতির দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা প্রতিকূল হয়ে উঠেছে। দাস আরও জানান, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি হয়েছে, তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া জরুরি।
ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে, যা ছিল মাত্র ৫.৪ শতাংশ। এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে উৎপাদন এবং খনন শিল্পের দুর্বল কার্যক্ষমতা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই ত্রৈমাসিকে এই হার ছিল ৮.১ শতাংশ।
মুদ্রানীতি কমিটির এই সভাটি ছিল গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের বর্তমান মেয়াদের শেষ সভা। তাঁর মেয়াদ ১০ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরবিআইয়ের সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রয়াসে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: আরবিআই-এর নতুন সিবিল স্কোর নিয়ম, জানুন বিস্তারিত