নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস মহামারির সময় প্রবীণ নাগরিকদের ভাড়ায় ছাড় বাতিল করার ঘোষণা করা হয়েছিল। এর জন্য বিভিন্ন যুক্তিও তুলে ধরা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফ থেকে। তবে সাম্প্রতিককালে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এই বিষয়ে বেশ কয়েক বার আলোচনা হয়েছে। প্রবীণ নাগরিক, সাংবাদিক এবং অন্যান্য শ্রেণির জন্য ছাড় পুনরায় চালু করার দাবি তুলেছেন লোকসভার একাধিক সদস্য।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ভারতীয় রেলওয়ে সমাজের সমস্ত অংশের জন্য সাশ্রয়ী পরিবহন পরিষেবা প্রদান করে। তিনি জানান, ২০২২-২৩ সালে যাত্রী টিকিটে ৫৬,৯৯৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে ভারতীয় রেল।
মন্ত্রী আরও জানান, “রেলওয়ে প্রতিটি যাত্রীর জন্য গড়ে ৪৬ শতাংশ ছাড় দিয়ে থাকে। অর্থাৎ, যদি কেউ ১০০ টাকার টিকিট কাটেন, তবে তিনি এর জন্য শুধুমাত্র ৫৪ টাকা দেন।” বর্তমানে, চারটি প্রতিবন্ধী শ্রেণি, ১১টি রোগীর শ্রেণি এবং ৮টি ছাত্র শ্রেণির জন্য ছাড় অব্যাহত রয়েছে।
এখনও প্রবীণ নাগরিক ও সাংবাদিকদের জন্য ভাড়ার ছাড় পুনরায় চালু করার বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেন্দ্রের দাবি, ভারতীয় রেলওয়ে নিজের আধুনিকীকরণের এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। আধুনিক স্টেশন, ট্রেন এবং প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে থাকা এই সরকারি পরিবহন সংস্থা বহু শ্রেণির যাত্রীদের জন্য ১০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়ায় ছাড় দিয়ে আসছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ মাসে, ভারতীয় রেলওয়ে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ট্রেন ভাড়ায় যে বিশেষ ছাড় দেওয়া হত, তা বন্ধ করে দেয়। এই ব্যবস্থায় মহিলা প্রবীণ নাগরিকরা ৫০ শতাংশ এবং পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রবীণ নাগরিকরা ৪০ শতাংশ ছাড় পেতেন। এই ছাড় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পুরো ভাড়া দিতে হচ্ছে তাঁদের।
আরও পড়ুন: ভারতে ৭৭ লাখ ডেলিভারি কর্মী, ২০৩০-এ পৌঁছাবে আড়াই কোটিতে: নীতিন গডকড়ী