প্রতি বছর ১৫ আগস্ট পালিত হয় ভারতের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনটি ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতীক। তবে এর বাইরেও রয়েছে অনেক অজানা কাহিনি।
১। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দেশ আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু তার আগে একই বছর ১8 জুলাই অনানুষ্ঠানিক ভাবে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল।
২। স্বাধীনতার সময়, ভারতের কোনো সরকারি জাতীয় সঙ্গীত ছিল না। ১৯১১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘ভারত ভাগ্য বিধাতা’ গানটির নাম পরিবর্তন করে ‘জন গণ মন’ রাখা হয় এবং ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি ভারতের গণপরিষদে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হয়।
৩। মাউন্টব্যাটেন ১৫ আগস্টকে ভারতের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই দিনই জাপান মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। তারই স্মৃতিতে এই দিনকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
৪। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যগুলির রাজ্যপালই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতেন। কিন্তু ১৯৭৪ সালে এর পরিবর্তন ঘটে যায়। এম করুণানিধি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন এবং তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
৫। স্বাধীনতার আগে ভারতে ৫৫০ জন রাজার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্য ছিল। সর্দার বল্লভভাই পটেল তাঁদের একত্রিত হতে অনুরোধ করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। তাঁরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে রাজি হয়েছিলেন এবং অবশেষে যুক্তও হয়েছিলেন।
৬। স্বাধীনতা লাভের পর মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কংগ্রেসকে ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি তাঁর মৃত্যুর এক দিন আগে লেখা একটি খসড়ায় বলেছিলেন, জাতীয় কংগ্রেস তার লক্ষ্য পূরণ করেছে। এটির প্রয়োজন ফুরিয়েছে।
৭। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু – এটি সবাই জানি। কিন্তু তিনিই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হননি। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জিতেছিলেন সর্দার বল্লভভাই পটেল। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর প্রিয় পাত্র ছিলেন নেহরু। গান্ধীজি সর্দার বল্লভভাই পটেলকে পদত্যাগ করতে অনুরোধ করেছিলেন।
তথ্য: সংগৃহীত
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস ২০২৩: এ বার ৭৬তম না কি ৭৭তম?