নয়াদিল্লি: ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদী সংঘর্ষ। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গুলির লড়াইয়ে নিহত ছয় মাওবাদীর। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী ও নকশালদের মধ্যে জোর সংঘর্ষ বাঁধে।
বাহিনী ও মাওবাদী সংঘর্ষের তথ্য জানিয়ে, এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক মহিলা-সহ ছয় মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে (অন্য মতে দুই মহিলা)। তথ্য অনুসারে, বিজাপুর জেলার চিকুরবাট্টি-পুসবাকার কাছে জঙ্গল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের মধ্যে একটি গুলির লড়াই হয়েছে।
ডিআরজি, সিআরপিএফ ২২৯, কোবরা দল এই অভিযান চালিয়ে ছিল বলে জানা যায়। ওই আধিকারিক আরও জানান, এনকাউন্টার শেষ হওয়ার পরে, ঘটনাস্থল থেকে একজন মহিলা-সহ ছয় মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে ঘটনাস্থলে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, তিন গ্রামবাসীকে হত্যার পর, নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল পোলামপল্লি, চিকুরবাট্টি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। সে সময় নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বলে রাখা ভালো, বিজাপুর জেলা বস্তার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। সেখানে আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোট হবে।
সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই বলেছেন, “আগের কংগ্রেস সরকারের সময়ে নকশাল বিরোধী অভিযান খুবই দুর্বল ছিল। আমরা এমনটাও শুনেছি যে মাওবাদীরা বলত এটা আমাদের সরকার। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমাদের ডাবল ইঞ্জিন সরকার লড়াই জোরদার করেছে। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (বিজয় শর্মা)ও এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে আমরা একটি বিকল্প পথও নিয়েছি। যেখানে কোনো মাওবাদী যদি আত্মসমর্পণ করতে চায়, তাহলে আমরা তাদের সঙ্গে ন্যায্য বিচার করব। এছাড়াও, তাদের (মাওবাদীদের) জন্যও দরজা খোলা রয়েছে। তারা যাতে বন্দুক ছেড়ে দেয় এবং উন্নয়নের মূল স্রোতে যোগ দেয়, সেই আলোচনা করতে রাজি রয়েছি।”
আরও পড়ুন: ফের কুকথা দিলীপ ঘোষের, নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর পিতৃপরিচয় নিয়ে কটাক্ষ