কলকাতা: প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ। মঙ্গলবার রাত ৮.১৪-এ রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে জীবনাবসান হল তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত সমস্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
২০২২ সালের মার্চ মাসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রামকৃষ্ণ মঠের প্রেসিডেন্ট স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ। সে সময় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে রেখে তাঁর চিকিৎসা হয়েছিল। বেশ কয়েক দিন চিকিৎসা চলার পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। মাসখানেক আগে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভর্তি ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনেরই এক হাসপাতালে। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই।
কয়েক দিন আগেই কলকাতা সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেখতে যান স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজকে। এ দিন মহারাজের প্রয়াণের পর প্রধানমন্ত্রী নিজের এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, “রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের শ্রদ্ধেয় সভাপতি শ্রীমৎ স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজ আধ্যাত্মিকতা এবং জীবসেবায় তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। অগণিত হৃদয় ও মননে তিনি ছাপ রেখে গিয়েছেন। তাঁর সহানুভূতি ও প্রজ্ঞা বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।”
প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, “কয়েক বছর ধরে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ খুব নিবিড় হয়েছিল। ২০২০ সালে বেলুড় মঠ সফরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতায় হাসপাতালে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবরও নিয়েছিলাম। বেলুড় মঠের অসংখ্য ভক্তের প্রতি আমার সমবেদনা।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “বেলুড় মঠের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। নিজের দীর্ঘ জীবনকালে স্মরণানন্দজি মহারাজ রামকৃষ্ণ চেতনার মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে আধ্যাত্মিকতার পথ দেখিয়েছেন। আজও তিনি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও অনুগামীদের অনুপ্রেরণা। আমি তাঁর অনুগামী এবং ভক্তদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, ২৭ জানুয়ারি থেকে ভর্তি ছিলেন রামকৃষ্ণ সেবা প্রতিষ্ঠানে। প্রবীণ এই সন্ন্যাসীর চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ডও। মাঝে শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয়েছিল যে, ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল মিশনের অধ্যক্ষ মহারাজকে।