লাদাখের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন খ্যাতনামা পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক। গত রবিবার (৬ অক্টোবর) থেকে দিল্লির লাদাখ ভবনের সামনে বসে তিনি অনির্দিষ্টকালের অনশন শুরু করেছিলেন। এই অনশনের অষ্টম দিনে রবিবার দুপুরে দিল্লি পুলিশের একটি দল তাঁকে এবং আরও ২০-২৫ জন আন্দোলনকারীকে আটক করে। অভিযোগ, তাঁদের মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সোনম ওয়াংচুক প্রথমে যন্তর মন্তরের সামনে অনশন শুরু করার আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে প্রতিবাদের অনুমতি না পাওয়ায় তাঁরা লাদাখ ভবনের সামনে বসেন। দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লাদাখ ভবনের সামনে কোনও অনুমতি ছাড়াই আন্দোলনে বসেছিলেন সোনম ও তাঁর অনুগামীরা, তাই তাঁদের আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে আরও জানানো হয়েছে যে, যন্তর মন্তরে প্রতিবাদের অনুমতির আবেদন এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে এবং আটক ব্যক্তিদের শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তারা সোনমকে আটক করেনি।
সোনমের অনশন নিয়ে দিল্লি পুলিশের এই পদক্ষেপের পর, রবিবার দুপুরে সোনমের সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানে দেখা যায়, পুলিশ আন্দোলনকারীদের জোর করে একটি বাসে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। যদিও ওই ভিডিওতে সোনমকে দেখা যায়নি। সোনম ওয়াংচুক ভিডিওটি শেয়ার করে লেখেন, “শান্তিপূর্ণ ভাবে অনশনকারীদের জোর করে তুলে দিচ্ছে পুলিশ এবং আটক করছে।”
লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সোনম ওয়াংচুক দীর্ঘ দিন ধরেই লড়াই চালিয়ে আসছেন। তাঁর দাবি, লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতাভুক্ত করে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হোক এবং সেখানে পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করা হোক। সেইসঙ্গে লেহ ও কার্গিল জেলার জন্য পৃথক লোকসভা আসনের দাবিও তুলেছেন তিনি।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোনম দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানার কাছে আটক হন, তবে পরে ২ অক্টোবর রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সোনম এবং তাঁর অনুগামীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।