কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার স্বতঃপ্রণোদিত শুনানিতে আজ সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসকদের অমানবিক কাজের সময়সূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রেসিডেন্ট ডাক্তারদের দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর কাজের সময়সূচি চিকিৎসা পরিষেবার মান এবং চিকিৎসকদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, জাতীয় টাস্ক ফোর্স (NTF) ডাক্তারদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রোটোকল তৈরি করতে যে সুপারিশ করবে, সেই সুপারিশের মধ্যে চিকিৎসকদের কাজের সময়সূচি সম্পর্কিত এই সমস্যা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আদালত জানিয়েছে, মেডিকেল পেশার সঙ্গে জড়িত সমস্ত স্তরের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং তাদের সুপারিশগুলো টাস্ক ফোর্সের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিবেচনা করতে হবে।
এই বিষয়ে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে একটি অভিযোগ পোর্টাল খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে ইন্টার্ন, রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য চিকিৎসকরা তাদের মতামত জানাতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এই পোর্টালের মাধ্যমে সকল পক্ষের মতামত NTF-র কাছে পৌঁছাবে এবং সেই মতামতের ভিত্তিতে টাস্ক ফোর্স তাদের সুপারিশ তৈরি করবে।
ধর্ষণ রুখতে কড়া আইন আনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর, দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার আবেদন
আদালতের নির্দেশিকায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিভিন্ন হস্তক্ষেপকারীরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন, যেমন:
১. ডাক্তারদের জন্য বিশেষত মহিলা পেশাদারদের জন্য একটি ডিস্ট্রেস কল সিস্টেম চালু করা, যা নিকটবর্তী থানার সাথে যুক্ত থাকবে।
২. ঘটনাগুলির দ্রুত তদন্তের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক এফআইআর ব্যবস্থা।
৩. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন।
সুপ্রিম কোর্ট এনটিএফকে এই বিষয়গুলিও বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে এবং মেডিকেল পেশার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।