আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে গোটা দেশকে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার মামলার শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানির শুরুতেই সেই ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হল, আরজি করে মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কর্তব্যরত অবস্থায় মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় অনেক নার্স ও চিকিৎসক হস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের কর্মবিরতির বিষয়টিও রয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়। এরপরই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দেন, হাসপাতালে ও হস্টেলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিআইএসএফ মোতায়েন করা হবে।
আরজি করের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল আরজি কর। বিক্ষোভ চলছে হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। চিকিৎসকেরা যাতে আবার কাজে ফিরতে পারেন, সেদিকে তাকিয়ে এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় সর্বোচ্চ আদালত।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘আমরা আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছি।’’
প্রসঙ্গত, ৯ আগস্ট ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর গত ১৪ আগস্ট রাতে হামলা হয় আরজি কর হাসপাতালে। অভিষোগ, ওই রাতে হঠাৎই বাইরে থেকে কিছু দুষ্কৃতী, বহিরাগত গুণ্ডারা ঢুকে পড়ে। তারা হাসপাতাল জুড়ে তাণ্ডব চালায়। স্পেশাল নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট বা এসএনসিইউ ডিপার্টমেন্টও বাদ পড়েনি। সেখানে ঢুকে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়ে বলে, ‘আজ বেঁচে গেছিস, কাল বাঁচবি না। মা-বাচ্চা কেউ বাদ যাবে না। রেপ করব’। সে সময় পুলিশেরও কোনো সহযোগিতা পাওয়া ষায়নি বলে অভিষোগ।