নয়াদিল্লি: বিহার সংরক্ষণ আইনের সংরক্ষণের সীমা ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশে বাড়ানোর বিষয়ে নীতীশ কুমার সরকারের সিদ্ধান্তে ধাক্কা সুপ্রিম কোর্টের। সোমবার মামলার শুনানির সময়, রাজ্যের সংশোধিত সংরক্ষণ আইনগুলির বিষয়ে পটনা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করতে অস্বীকার করল সর্বোচ্চ আদালত।
বলে রাখা ভালো, নীতীশ সরকার সংরক্ষণ আইন সংশোধন করেছিল এবং আদিবাসী এবং অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করেছে। এর আগে হাইকোর্ট সরকারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টও সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে।
তবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের একটি বেঞ্চ পটনা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিহার সরকারের ১০টি আবেদনের শুনানি করতে সম্মত হয়েছে। শীর্ষ আদালত এই মামলায় আবেদনের অনুমতি দিয়ে বলেছে যে সেপ্টেম্বরে এগুলির শুনানি হবে।
রাজ্য সরকারের তরফে সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ্যাম দিওয়ান হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এ দিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা মামলার তালিকা করব, তবে আমরা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে কোনও স্থগিতাদেশ দেব না”।
প্রসঙ্গত, কোটা বৃদ্ধি চাকরি ও শিক্ষার ক্ষেত্রে নাগরিকদের সমান সুযোগের অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে আগে দায়ের করা অভিযোগে হাইকোর্ট ২০ জুন আইনটি বাতিল করে দিয়েছিল ।
বিহারে পোস্ট ও সার্ভিসে শূন্যপদ সংরক্ষণ (তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য) সংশোধনী আইন, ২০২৩ এবং বিহার (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে) রিজার্ভেশন (সংশোধন) আইন, ২০২৩-কে নিয়ম লঙ্ঘন হিসাবে অভিহিত করে হিসাবে বাতিল করে হাইকোর্ট। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪, ১৫ এবং ১৬-এর অধীনে সমতা ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছিল বলে জানানো হয়।