নেপালের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়। শুক্রবার রাতে শপথ নিতে চলেছেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি। কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল আবাসে রাত সওয়া ৯টায় রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের কাছে শপথবাক্য পাঠ করবেন তিনি।
তাঁকেই বেছে নিল ছাত্র-যুবরা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলির পদত্যাগের পরে ছাত্র-যুব আন্দোলনের তরফে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সুশীলার নাম প্রস্তাব করা হয়। তিনি প্রথমে অন্তত ১,০০০ জনের লিখিত সমর্থন চান। কিন্তু প্রথমেই জমা পড়ে ২,৫০০-রও বেশি স্বাক্ষর। অবশেষে ভোটাভুটির মাধ্যমে তাঁর নামই সর্বসম্মতভাবে চূড়ান্ত হয়।
সুশীলার পথচলা
- ২০০৬: সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন।
- ২০০৯: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগ।
- ২০১৬: নেপালের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হন। তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী।
- ২০২৫: নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে।
পেশাজীবন ও সংগ্রাম
শিক্ষিকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সুশীলা কার্কি। পরে বিচারব্যবস্থায় যোগ দেন। সততা, নির্ভীকতা ও দক্ষতার জন্য তিনি নেপালের আইনজগতে এক বিশেষ পরিচিতি পান। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন তাঁর একাধিক রায় দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে রয়েছে।
প্রতীকী গুরুত্ব
নেপালে নারী নেতৃত্বের ইতিহাসে সুশীলার উত্থান এক বিরাট মাইলফলক। এর আগে বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী হয়েছিলেন নেপালের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি। এবার সুশীলা কার্কি হতে চলেছেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। ফলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে।
সামনে বড় চ্যালেঞ্জ
অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা—এখনই তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।