Home খবর দেশ কৃষকদের জন্য বড়সড় ঘোষণা কেন্দ্রের, ১৪টি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি

কৃষকদের জন্য বড়সড় ঘোষণা কেন্দ্রের, ১৪টি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি

কৃষকদের জন্য বড়সড় ঘোষণা কেন্দ্রের, ১৪টি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি
কৃষকদের জন্য বড়সড় ঘোষণা কেন্দ্রের, ১৪টি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি

কেন্দ্রীয় সরকার ভোটের পর কৃষকদের জন্য একটি বড়সড় ঘোষণা করল। বুধবার ক্যাবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১৪টি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানো হবে। এই ঘোষণাটি উত্তর ভারতের কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবির ফলস্বরূপ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আন্দোলনের কারণেই রাজ্যগুলোতে বিজেপির ফলাফল খারাপ হয়েছে।

বৈঠকের পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “প্রধানমন্ত্রী বারবার কৃষকদের প্রাধান্য দিয়েছেন। তৃতীয়বার সরকার গঠনের পরে প্রথম সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে কৃষকদের জন্যই। এদিন ক্যাবিনেট বৈঠকেও কৃষকদের উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খারিফ শস্যের মরশুম শুরু হয়েছে। তার জন্য ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ১৪টি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানো হবে।”

জানা গিয়েছে, ধানের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১১৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও তুলো, মিলেট, জোয়ার, বাজরা, রাগি, মুগডাল, তুর ডাল, উরাদ ডালের সহায়ক মূল্যও বাড়ানো হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে কৃষকদের ৩৫ হাজার কোটি টাকা লাভ হবে।

তীব্র গরমে স্পাইসজেট বিমানে যাত্রীদের ভোগান্তি, এসি ছাড়াই থাকতে হল ১ ঘণ্টা

তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে প্রথম দিনই সাউথ ব্লকে নিজের দফতরে গিয়ে কিষাণ নিধির ফাইলে সই করেন নরেন্দ্র মোদী। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বরাদ্দ করা ২০ হাজার কোটি টাকা বণ্টন করা হবে ৯.৩ কোটি কৃষকের মধ্যে।

চলতি বছরের শুরু থেকে কৃষক বিদ্রোহে উত্তাল ছিল জাতীয় রাজনীতি। দিল্লির একাধিক সীমানায় বসে লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়ে যান কৃষকরা। সেই আন্দোলনের বড়সড় ছাপ পড়েছে লোকসভা নির্বাচনে। কৃষক বিদ্রোহের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হরিয়ানায় পাঁচটি আসন বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে। তার পরেই ফের কৃষক কল্যাণের বার্তা দিল সরকার। চলতি বছরেই ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলোতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেও সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এই নতুন পদক্ষেপ কৃষকদের জন্য কতটা কার্যকর হবে এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এর কী প্রভাব পড়বে, তা সময়ই বলবে। তবে সরকারের এই উদ্যোগে কৃষকদের মধ্যে কিছুটা হলেও সন্তুষ্টি ফিরবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version