Home খবর দেশ ‘রেমাল’-এর তাণ্ডব উত্তর-পূর্ব ভারতে, অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু

‘রেমাল’-এর তাণ্ডব উত্তর-পূর্ব ভারতে, অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু

0

খবর অনলাইন ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব ভারতে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর তাণ্ডবে অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত ১২ জন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। ব্যাপক ঝড়, বৃষ্টি আর ধসে বহু বাড়ি, বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়েছে। শত শত মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে।    

‘রেমাল’-এ সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়েছে মিজোরাম। শুধুমাত্র মিজোরামেই মারা গিয়েছেন ২৭ জন। রাজ্যের রাজধানী আইজলের মেলথুম, হ্লিমেন, ফকওয়ান এবং সালেম ভেং এলাকায় মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মিজোরাম সরকার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই খবর দিয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অসমে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ১৮ জন জখম হয়েছেন। শোণিতপুর জেলায় একটি স্কুলবাসের উপরে গাছ পড়ে ১২ জন শিশু জখম হয়েছে। তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ তাণ্ডব চালিয়েছে নাগাল্যান্ডে। ফলে এই রাজ্যে ৪০টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মারা গিয়েছেন ৪ জন। ধ্বংসের জায়গায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে এত গাছ পড়েছে যে উদ্ধারকাজ চালানো খুব কষ্টকর হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

মেঘালয়ের সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সে রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন। ৫০০-এরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ১ জন মারা গিয়েছেন ইস্ট জয়ন্তিয়া জেলায় এবং আর ১ জনের মৃত্যু হয়েছে ইস্ট খাসি হিল্‌স জেলায় গাড়ি দুর্ঘটনায়।

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর জেরে ত্রিপুরায় কেউ প্রাণ না হারালেও রাজ্য জুড়ে ২৪৬টি পরিবারের ৭৪৬ জন গৃহহারা হয়েছেন। তাঁদের বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ রবিবার মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী সুন্দরবনে ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি গতিবেগে আছড়ে পড়ে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ, দুই জায়গাতেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, প্রাণহানিও ঘটে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version