খবর অনলাইন ডেস্ক: লালকেল্লার কাছে পার্কিং এলাকায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু ও ২০ জনের বেশি আহত হওয়ার ঘটনায় নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলোর দাবি, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০ গাড়ির চালক ও মূল অভিযুক্ত উমর মহম্মদ ওরফে উমর নবি অবৈধ উপায়ে ২০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, উমর এই অর্থের একাংশ ব্যবহার করে হরিয়ানার নুহ এলাকার এক বাজার থেকে নগদে বিপুল পরিমাণ সার কিনেছিলেন। ইতিমধ্যেই কয়েক জন হাওয়ালা ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে তদন্তকারীরা।
গত সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার পার্কিং এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা আই২০ গাড়িটি হঠাৎই বিস্ফোরিত হয়। তীব্র বিস্ফোরণে আশপাশে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই জম্মু–কাশ্মীর, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ জুড়ে পরিচালিত অভিযানে জইশ-ই-মহম্মদ ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ জড়িত একটি ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাসী ছক বানচাল করে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তিনজন চিকিৎসক-সহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়।
তদন্তকারীরা বিস্ফোরণের ঠিক আগে কোন কোন গাড়ি পার্কিং এলাকায় ঢুকেছিল তার একটি বিস্তারিত তালিকা তৈরি করেছে। পাশাপাশি রেড ফোর্ট মেট্রো স্টেশন–এর সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে, যেখানে বিস্ফোরণের মুহূর্তের ঠিক আগে ও পরে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। উমরের ছবি দেখিয়ে চালক ও গাড়ির মালিকদের জিজ্ঞেস করা হচ্ছে, তিনি ওই সময় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কি না।
উমর ছাড়াও মুজাম্মিল গনাই ও শাহিন সইদ, যাঁদের সঙ্গে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ছিল, গ্রেফতার হয়েছেন। কলেজ ক্যাম্পাস থেকেই ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ইউজিসি ও ন্যাক–এর রিপোর্টে গুরুতর অনিয়ম ধরা পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ক্রাইম ব্রাঞ্চ দুটি এফআইআর দায়ের করেছে।
জম্মু–কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ১৯৮৯ সালে জন্ম নেওয়া উমর মহম্মদ ফারিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলেন, এবং প্রতিষ্ঠানটিও এখন তদন্তের আওতায়।


