প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণ বিল ঘিরে ফের সরব তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে খবর, সংবিধান সংশোধনী বিল-সহ যে তিনটি বিল কেন্দ্র এনেছে, তা নিয়ে সংসদীয় যৌথ কমিটিতে কোনও প্রতিনিধি রাখবে না তৃণমূল। দলের দাবি, এই বিল কার্যকর হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই তা নিয়ে আলোচনায় গিয়ে সাংসদদের সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার দাবি, “এই বিল কোনওদিনই পাস হবে না। যদি কোনওভাবে পাসও করিয়ে নেয়, সুপ্রিম কোর্ট এটাকে আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেবে।” একই সঙ্গে কংগ্রেসের নরম সুর নিয়েও অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল শিবিরে।
বুধবার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ও মিতালী বাগদের হেনস্তা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে দলের তরফে লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। দলের আরও এক সাংসদ আবু তাহের খানের ক্ষেত্রেও শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
এদিন দুপুরে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিলকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব পেশ করতে গেলে, তৃণমূল সাংসদরা ওয়েলে নেমে প্রবল বিক্ষোভ দেখান। স্লোগান দিতে দিতে তাঁরা ট্রেজারি বেঞ্চের সামনে গিয়ে বিলের কপি ছিঁড়ে উড়িয়েও দেন। প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে শাহর বিরুদ্ধে লাগাতার স্লোগান শোনে রাজ্যসভা।
হট্টগোলের মধ্যেই কেন্দ্র সরকার ধ্বনিভোটে অনলাইন গেমিং বিল পাস করিয়ে নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যসভার অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে যায়। সব মিলিয়ে, সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের বিল ঘিরে সংঘাত চরমে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন:
১২ হাজার ছাঁটাইয়ে তোলপাড়! টিসিএস–এর সিদ্ধান্তে বিক্ষোভ, রাস্তায় নামল আইটি কর্মীদের সংগঠন