Home খবর দেশ উত্তরকাশীর ধরালিতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বান, মৃত ৪, নিখোঁজ অন্তত ৫০

উত্তরকাশীর ধরালিতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বান, মৃত ৪, নিখোঁজ অন্তত ৫০

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার ধরালি গ্রামে ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বান। ইতিমধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ অন্তত ৫০। উদ্ধারকাজে সেনা, আইটিবিপি, এনডিআরএফ।

Uttarkashi flash flood
উত্তরকাশীর ধরালিতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বান

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার ধরালি গ্রামে ফের ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টি। তার জেরে হড়পা বান পরিস্থিতিতে কার্যত ভেসে গেল গোটা এলাকা। প্রবল জলের তোড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গ্রাম, অন্তত ২০–২৫টি হোটেল ও হোমস্টে ভেসে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ঘটনাস্থল থেকে পিটিআইকে একাধিক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০–১২ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রায় ৫০ জনের খোঁজ মিলছে না।

মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে প্রবল মেঘভাঙা বৃষ্টি হয় ক্ষীরগঙ্গা নদীর উচ্চ অববাহিকায়। সেই জলের তোড়েই পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসে ফুঁসতে থাকা ধারা, যা গ্রামে ঢুকে ভাসিয়ে দেয় সব কিছু।

সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, উঁচু পাহাড় থেকে জল নেমে এসে ধেয়ে যাচ্ছে গ্রামের দিকে। তবে এই ভিডিয়োগুলির সত্যতা এখনও যাচাই হয়নি।

উদ্ধারকাজ চলছে পুরোদমে। সেনা সূত্রে খবর, ধরালির কাছেই হারসিল সেনা ছাউনিতে থাকা ১৫০ জন সেনা সদস্য ১০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। ইতিমধ্যেই তাঁরা ১৫–২০ জনকে উদ্ধার করেছেন। বাকিদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আহতদের সেনা ক্যাম্পেই রাখা হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজে প্রশাসনের পাশাপাশি আইটিবিপি ও এনডিআরএফ-এর দল কাজ করছে। সেনার ১৬ জন সদস্য ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে নামেন।

এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী ধামির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। X (টুইটার)-এ তিনি লেখেন, “ধরালির হড়পা বান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছি। আইটিবিপি-র তিনটি দল, এনডিআরএফ-এর চারটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।”

টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের অন্যান্য এলাকাও বিপর্যস্ত। হরিদ্বারে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা ও কালী নদী। সোমবার দেহরাদূনের সমস্ত স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়।

উত্তরকাশী জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রবল বর্ষণের জেরে বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জলের তলায় চলে গিয়েছে। চার ধামের অন্যতম গঙ্গোত্রীতে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ভারী বৃষ্টিতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ি এলাকায় আরও হড়পা বান বা ধস নামার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাজ্য প্রশাসন।

আরও পড়ুন: হিমাচল ‘হাওয়ায় মিলিয়ে’ যেতে পারে! ভয়াবহ আশঙ্কা সুপ্রিম কোর্টের

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version