কলকাতা: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই আলোর উৎসবে মেতে উঠবে চারিদিক। শ্যামা মায়ের আরাধনায় মেতে উঠবে সবাই। এই বছর ১২ নভেম্বর (রবিবার) কালীপুজো ও দীপাবলী পালন করা হবে।
হিন্দু ধর্মের আর এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব দীপাবলি। প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপাবলি পালিত হয়। দীপাবলিকে সুখ-সমৃদ্ধি প্রদানকারী উৎসব মনে করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এ দিন লক্ষ্মী নিজের ভক্তদের বাড়িতে আসেন এবং তাঁদের ধন-ধান্যের আশীর্বাদ প্রদান করেন। এ দিন লক্ষ্মী-গণেশ পুজোর পাশাপাশি দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজোও করা হয়।
প্রতি বছর বিজয়া দশমীর ২১ দিনের মাথায় পালিত হয় দীপাবলি। পুরাণ বলছে, রাবণকে পরাজিত করতে যাওয়ার আগে শ্রীরাম অকাল বোধন করে দুর্গাপুজো করেছিলেন। দশেরাতেই রাবণ বধ করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। প্রচণ্ড যুদ্ধের পর দশমীতে রাবণ বধ করে সীতাকে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরতে ঠিক ২১ দিন সময় লেগেছিল রাম লক্ষ্মণের। রাম, সীতা ও লক্ষ্মণ যেদিন অযোধ্যায় ফিরে আসোন, সেদিন তাঁদের স্বাগত জানাতে প্রদীপ দিয়ে সাজানো হয় গোটা অযোধ্যা।
সেই কারণেই বিজয়া দশমীর ঠিক ২১ দিন পর পালিত হয় দীপাবলি। এবং সেদিন প্রদীপের আলোয় সেজে ওঠে পুরো দেশ। ধারণা করা হয়, এই উৎসব সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। শহরের অলিগলি সেজে ওঠে আলোর মালায়। রকমারি আলো, প্রদীপ, মোমের আলোর রোশনাইতে চারিদিকের অন্ধকার ঘুচে যায়।
আরও পড়ুন: কালীপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে, ব্যস্ততা পটুয়াপাড়ায়, আলোর বাজারে গমগমে ভিড়