Home খবর রাজ্য দিল্লি পুলিশের হাতে হেনস্থার অভিযোগ, প্রতিবাদে এ বার রাজভবন অভিযানের ডাক অভিষেকের

দিল্লি পুলিশের হাতে হেনস্থার অভিযোগ, প্রতিবাদে এ বার রাজভবন অভিযানের ডাক অভিষেকের

0

মঙ্গলবার রাতে দিল্লি পুলিশের হাতে ‘হেনস্থার’ শিকার হওয়ার প্রতিবাদে কলকাতায় কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন তিনি। ওই দিন বেলা ৩টের সময় রাজভবন অভিযান হবে বলে ঘোষণা করেন অভিষেক।

দু’ঘণ্টা পুলিশ লাইনে আটক থাকার পর বেরিয়ে এসে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন অভিষেক। ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছিল তৃণমূল। এ বার সেই ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার ডাক দিলেন তিনি। আগামী বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাজভবন অভিযান করে এই ৫০ লক্ষ চিঠি পৌঁছে দেওয়ার ডাক দিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বললেন, ১ লক্ষ লোক নিয়ে রাজভবন অভিযান করবে তৃণমূল।

মঙ্গলবার যন্তর মন্তরের কর্মসূচি শেষে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের অন্যান্য প্রতিনিধিদলের।। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা না করায় কৃষিভবনেই অবস্থান শুরু করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রাত্রি ৯টা নাগাদ কৃষিভবনে অবস্থানরত তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে জোর করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে দিল্লি পুলিশ। শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। অভিষেক-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আটক করে দিল্লি পুলিশ।

কথামতো,কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে পায়ে হেঁটে দিল্লির কৃষিভবনে পৌঁছয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তার পরই এই ঘটনা। কৃষি ভবন থেকে নেতা-নেত্রীদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মুখার্জীনগর থানায়। থানার ভিতরে আটক করে রাখা হয় অভিষেক-সহ অন্যান্য তৃণমূল প্রতিনিধিকে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর থানা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন অভিষেক-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

থানা থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘কৃষি ভবনে ঢোকার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়ে দেন তিনি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করবেন না। বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি সেই অনুরোধ রাখেননি। আমরা সন্তানহারাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি রাজি হননি।” অভিষেক আরও বলেন, “বেশ খানিকক্ষণ বসে থাকার পর আমরা জানতে পারি মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন না। তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন। সন্তানহারাদের সঙ্গে দেখা না করে পালিয়ে গেলেন মন্ত্রী।”

দিল্লিতে এই হেনস্থার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন অভিষেক। ওই দিন বেলা ৩টের সময় রাজভবন অভিযানের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আজ গণতন্ত্রের জন্য একটা অন্ধকার, ভয়ঙ্কর দিন।” একইসঙ্গে রবীন্দ্রনাথকে ধার করে লেখেন, “আমরা ভয় করব না ভয় করব না, দু’বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।” মমতা মঙ্গলবারের ঘটনাক্রমের পর দিনটিকে কালো দিন হিসাবে বর্ণনা করেছেন। বাংলার মানুষের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলেও এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন।

অন্য দিকে, রাত ১০টায় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, তাঁর আজ আড়াই ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়েছে। সাড়ে ৮টা অবধি তৃণমূলের প্রতিনিধিদের জন্য অপেক্ষা করে দফতর থেকে বের হন।

অন্য দিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, কৃষিভবনে মন্ত্রীর দেখা না পেয়ে কার্যত অবস্থান বিক্ষোভের ঢঙে বসে পড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতামন্ত্রীরা। সেখানে তাঁরা দেখা না করা নিয়ে বারংবার আশ্বাস ভঙ্গ করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেখানেই রাত ৮টার পর থেকে পুলিশ ঢুকতে থাকে। পুলিশ ঢুকে এর পর কার্যত গায়ের জোরে কৃষিভবন থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের। সেখানে মহুয়া মৈত্র-সহ বেশ কয়েকজন মহিলা প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে হেনস্থারও অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি, শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেনরা।

আরও পড়ুন: রাজ্যে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হল মঙ্গলবার, পরীক্ষার্থী প্রায় ১.৬০ লক্ষ

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version