খবর অনলাইনডেস্ক: আরও একটা রাত কেটে গেল ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে। টানা অনশন চালিয়ে যাওয়ার ফলে অনশনরত পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এদিকে চৌকি বাজেয়াপ্ত নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন আন্দোলনকারীরা।
ধর্মতলায় অনশনের তৃতীয় দিনে অশান্তি শুরু হয়। বউবাজার থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। অভিযোগ, অনশনমঞ্চে বসবার জন্য যে চৌকি আনা হয়েছিল, সেগুলো ‘বাজেয়াপ্ত’ করেছে পুলিশ। রাস্তাতেই ওই নিয়ে একপ্রস্ত বাদানুবাদ হয় পুলিশ এবং জুনিয়র ডাক্তারদের। তারপর সোমবার সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়ায় বউবাজার থানার সামনে। জুনিয়র ডাক্তারদের স্লোগানে স্লোগানে ভরে ওঠে থানা চত্বর। পরে থানার মূল গেটের সামনে বসে পড়েন তাঁরা।
ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে এর আগেও পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বায়োটয়লেট বসানো নিয়ে অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার চৌকি নিয়ে শুরু হয় অভিযোগ। ডাক্তারেরা জানাচ্ছেন, অনশনমঞ্চের জন্য কয়েকটি চৌকি আনিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ চৌকিবোঝাই সাইকেল ভ্যান আটকে দেয়। মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছোয়নি চৌকি। এ ছাড়াও কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ার আনানো হয়েছিল। সেগুলিও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে পুলিশ জানায়, যে রাস্তা দিয়ে চৌকি আনা হচ্ছিল, সেখানে রিকশা চালানোর অনুমতি নেই। ওই নিয়ে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির পর সোজা থানায় গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। প্রায় তিন ঘণ্টা বউবাজার থানায় বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পরে ‘বাজেয়াপ্ত’ করা চৌকি ‘ছাড়িয়ে’ আনেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ছেড়ে দেওয়া হয় সাইকেল ভ্যানগুলিও। সেগুলোয় কয়েকটি চাপানো হয়। কয়েকটি চৌকি নিজেরাই কাঁধে তুলে নেন ডাক্তারেরা। তার পর হাঁটা দেন অনশনমঞ্চের দিকে।