Homeখবররাজ্যডা. বিধানচন্দ্র রায়ের কাছ থেকে যখন বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে চাননি মহাত্মা গান্ধী!

ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের কাছ থেকে যখন বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে চাননি মহাত্মা গান্ধী!

একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং প্রথমসারির রাজনীতিবিদ—উভয় পরিচয়েই সমান ভাবে পরিচিত। এ ক্ষেত্রে তিনি রাজনীতির জগতে ব্যতিক্রমী তো বটেই!

প্রকাশিত

রাজনীতিতে সমস্ত ক্ষেত্রের মানুষের অবাধ বিচরণ। এমনকী রাজনীতিতে প্রবেশ করার পরে আইনজীবী, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, অভিনেতা, ক্রীড়াবিদদের পেশাগত পরিচয়ও কখনও কখনও উহ্য হয়ে যায়। তবে ডা. বিধানচন্দ্র রায় (Dr. Bidhan Chandra Roy) এমনই এক ব্যক্তিত্ব, যিনি একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং প্রথমসারির রাজনীতিবিদ—উভয় পরিচয়েই সমান ভাবে পরিচিত। এ ক্ষেত্রে তিনি রাজনীতির জগতে ব্যতিক্রমী তো বটেই!

একজন কিংবদন্তি চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ডা. বিধানচন্দ্র রায়। মহাত্মা গান্ধীরও চিকিৎসা করেছিলেন তিনি। মহাত্মা গান্ধী একটি প্রশ্ন করেছিলেন ডা. বিসি রায়কে: “কেন আমি তোমার চিকিৎসা নেব? তুমি কি আমার চার কোটি দেশবাসীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে পারো”?

বিসি রায় জবাব দিয়েছিলেন, “না গান্ধীজী, আমি সব রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে পারিনি। কিন্তু এখানে আমি মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর চিকিৎসা করতে আসিনি বরং তাঁর চিকিৎসা করতে এসেছি যিনি আমার কাছে আমার দেশের ৪০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী”।

অন্য দিকে, তিনি একজন বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা, একজন শিক্ষাবিদ এবং একজন সমাজসেবী। জাতীয় কংগ্রেসের একজন গুরুত্বপূর্ণ গান্ধীবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯২৫ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ডা. বিসি রায়। পড়ুয়াদের ধর্মঘট ও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ধারণার বিরুদ্ধে ছিলেন তিনি। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন একটি শক্তিশালী পেশাদার জ্ঞান জাতি গঠনে আরও বেশি অবদান রাখতে পারে। ১৯২৬ সালে নিজের প্রথম রাজনৈতিক ভাষণ দেন বিধানচন্দ্র। ১৯২৮ সালে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। বিস্তারিত পড়ুন এখানে: ডা. বিধানচন্দ্র রায়: বহুবিধ প্রতিভার সমাহার

দেশভাগের জেরে পশ্চিমবঙ্গকে একটি ‘সমস্যাপূর্ণ রাজ্য’ থেকে সমৃদ্ধশালী রাজ্যে রূপান্তরিত করেছিলেন তিনি। তাঁর সময়ে নতুন করে গড়ে উঠতে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ। সেই কৃতিত্বের রেশ ধরেই তাঁক বলা হয় ‘বাংলার রূপকার’। ১৯৪৮ সালে গ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। তাঁর ১৪ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বকালে নবগঠিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রভূত উন্নতি সম্ভব হয়েছিল।

১ জুলাই দিনটিকে চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালন করা হয় ভারতে। ১৯৯১ সালে প্রথম বার এই দিনটি পালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের প্রতি সম্মান জানিয়েই এই তারিখটি বেছে নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে: ভারতে কবে থেকে পালিত হয় জাতীয় চিকিৎসক দিবস, জানুন এই দিনটির ইতিহাস ও গুরুত্ব

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

যেতে হবে না আধার সেবা কেন্দ্রে, অ্যাপ ব্যবহার করেই করা যাবে আপডেট, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতেও ‘আধার ডেটা ভল্ট’

এবার ঘরে বসেই আধার কার্ডের আপডেট হবে নতুন ই-আধার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। একইসঙ্গে UIDAI চালু করেছে ‘আধার ডেটা ভল্ট’ — যা আধার সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্যকে আরও সুরক্ষিত রাখবে এনক্রিপশন প্রযুক্তিতে।

এ বার আলাদা আবেদন ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় ভাবে হবে পুর-মিউটেশন! জমি-বাড়ি কেনাবেচায় নতুন পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

জমি ও বাড়ি কেনাবেচায় আর আলাদা করে পুর-মিউটেশনের আবেদন করতে হবে না। রেজিস্ট্রেশনের সময়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরসভার নথিতে নতুন মালিকের নাম যুক্ত হবে—রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগে সহজ হবে প্রক্রিয়া।

বাঘশুমারির কারণে ১১ ও ১২ ডিসেম্বর বন্ধ থাকছে সুন্দরবনের জলপথ ভ্রমণ

ডিসেম্বরের ১১ ও ১২ তারিখ সুন্দরবনে বন্ধ থাকছে জলপথে পর্যটন। বাঘশুমারির প্রথম পর্যায়ের কাজ চলবে এই দুই দিনে। পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে টাইগার রিজ়ার্ভ কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বজয়ী রিচা ঘোষকে সংবর্ধনা সিএবি-র, মুখ্যমন্ত্রী দিলেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ-এর নিয়োগপত্র

খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার রিচা ঘোষকে সংবর্ধনা দিল...

আরও পড়ুন

এ বার আলাদা আবেদন ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় ভাবে হবে পুর-মিউটেশন! জমি-বাড়ি কেনাবেচায় নতুন পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

জমি ও বাড়ি কেনাবেচায় আর আলাদা করে পুর-মিউটেশনের আবেদন করতে হবে না। রেজিস্ট্রেশনের সময়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরসভার নথিতে নতুন মালিকের নাম যুক্ত হবে—রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগে সহজ হবে প্রক্রিয়া।

হেমন্তেই শিরশিরানি বাতাস! দক্ষিণবঙ্গে পারদ নামার ইঙ্গিত, উত্তরবঙ্গে কুয়াশার সতর্কতা

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস— দক্ষিণবঙ্গে নামবে তাপমাত্রা, উত্তরবঙ্গে কুয়াশার সতর্কতা। হেমন্তের সকালে বাড়ছে শীতের আমেজ, আসছে শীতের বার্তা।

সারা রাজ্যে এসআইআর ফর্ম বিতরণ ৩ কোটি ছাড়াল , এখনও শুরু হয়নি অনলাইন ফিল-আপ, উদ্বেগে পরিযায়ীরা

রাজ্যে তিন কোটিরও বেশি এসআইআর ফর্ম বিতরণ হয়েছে। কিন্তু এখনও শুরু হয়নি অনলাইন ফর্ম ফিল-আপ প্রক্রিয়া। কমিশনের দাবি, ডিজিটাল স্বাক্ষরের জটিলতা কাটাতে সময় নিচ্ছে তারা।