হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত কাজের অগ্রগতি জানতে মুখ্য ও স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক
১০ দফা দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচির ত্রয়োদশ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এরই মাঝে, ওই দিন সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বিকেলে ডেকে পাঠান। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই বৈঠক। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং তার অগ্রগতির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নেন। বৈঠক শেষে, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ শুক্রবার রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিনিধিদের নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকেন। এই বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদেরও উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কুণালের সঙ্গে একান্ত বৈঠক সিপিএমপন্থী চিকিৎসক নারায়ণ ব্যানার্জির
সিপিএমপন্থী চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের এক বৈঠক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানের কাছাকাছি, মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কুণালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে নারায়ণ বলেন, “আমি একজন নাগরিক এবং চিকিৎসক। কুণাল ঘোষও একজন নাগরিক ও সাংবাদিক। আমরা সাক্ষাৎ করেছি এবং কিছু কথা বলেছি।” তবে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কেউই বিস্তারিত কিছু জানাননি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সিপিএমপন্থী নারায়ণ এবং তৃণমূল নেতা কুণালের বৈঠককে অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। চিকিৎসকদের চলমান আন্দোলন নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে নারায়ণ বলেন, “এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।” যদিও তিনি এ কথাও বলেননি যে, তাঁদের মধ্যে আন্দোলন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
ময়নাতন্তের পর শেষকৃত্য হল কৃষ্ণনগরের মৃত তরুণীর
ময়নাতদন্তের পর তরুণীর দেহ কাচের শববাহী গাড়িতে করে কৃষ্ণনগরের বাড়িতে আনা হয়। মেয়ের নিথর দেহ দেখে ভেঙে পড়েন তাঁর বাবা এবং কান্নায় অজ্ঞান হয়ে যান। তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপের শ্মশানের দিকে রওনা দেয় তরুণীর পরিবার। রাত আটটা নাগাদ নবদ্বীপের শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আদালতের নির্দেশে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর দেহটি কৃষ্ণনগরে ফিরিয়ে আনা হয়। মেয়ে হারানোর শোকে বাবা জ্ঞান হারালেও, শেষকৃত্যের জন্য নবদ্বীপের গঙ্গার ধারের শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ।
জীবিত অবস্থায় পোড়ানো হয়েছে, দাবি ময়নাতদন্তকারী এক চিকিৎসকের
কৃষ্ণনগরের ছাত্রীকে অ্যাসিডে নয়, বরং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ময়নাতদন্তকারী এক চিকিৎসক। তাঁর দাবি, মেয়েটিকে খুনের পর নয়, জীবিত অবস্থাতেই পুড়িয়ে মারা হতে পারে। তবে, ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না তা স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কলকাতার হাসপাতাল থেকে সরল সিভিক ভলান্টিয়ার
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা আসার পরই রাজ্য প্রশাসন পদক্ষেপ নিল। সব সরকারি হাসপাতাল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। পরিবর্তে, বেসরকারি রক্ষী ও পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কলকাতা ও রাজ্যে মোট কতজন সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মরত আছেন। আইনজীবী করুণা নন্দী জানান, ১৫১৪ জন। তাঁদের যোগ্যতা কী, কোন আইনি ভিত্তিতে তাঁদের নিয়োগ করা হয়, এবং কোথায় নিযুক্ত আছেন—এই সব প্রশ্নের উত্তর সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে নির্দেশ দেয়। এছাড়া, সিভিক ভলান্টিয়াররা দৈনিক নাকি মাসিক বেতন পান, সে সম্পর্কেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, হাসপাতাল, থানায় বা অপরাধস্থলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মোতায়েন করা যাবে না। এই নির্দেশনা পালন করতে রাজ্য কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটাও হলফনামায় জানাতে হবে। শেষ শুনানিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কঠোর সমালোচনার পরেই, রাজ্য সরকার কলকাতার সব হাসপাতাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রয়াত দেবরাজ রায়
প্রয়াত হলেন বাংলা সিনেমা ও দূরদর্শনের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব দেবরাজ রায়। ৬৯ বছর বয়সে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন দেবরাজ। মাসখানেক আগে সেরিব্রাল অ্যাটাকের পাশাপাশি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। সেরে উঠার চেষ্টা চলছিল, কিন্তু কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়া এবং ডায়ালিসিসের মধ্যেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। তাঁর স্ত্রী অনুরাধা প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাল্টি অরগ্যান ফেলিওরের কারণে চিরবিদায় নিলেন বর্ষীয়ান এই শিল্পী।
বিষক্রিয়ায় মৃত্যু তপন কান্দুর স্ত্রীর
মিঠুন কান্দুর অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলো! নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী ও ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যুর পর মিঠুন কান্দু দাবি করেছিলেন, তাঁর কাকিমাকে ‘স্লো পয়জন’ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সেই অভিযোগের ভিত্তি মেলে। ওই রাতে মিঠুন, যিনি ঝালদার তৃণমূল কাউন্সিলর, বলেন, “আমি যা বলেছিলাম, সেটাই প্রমাণিত হলো। কাকিমার মতো সুস্থ, সবল মানুষ আচমকা কেন মারা যাবেন? বিষক্রিয়া ঘটিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ার প্রমাণ রয়েছে। এবার আমরা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করব।”
২৪ ঘণ্টায় ৯ প্রসূতির যমজ সন্তান, বিরল ঘটনার সাক্ষী বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকলো দক্ষিণবঙ্গ। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন প্রসূতি যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন। অতীতে এই হাসপাতালে বা অন্য কোথাও একদিনে এত সংখ্যক যমজ শিশুর জন্মের ঘটনা কেউ মনে করতে পারছেন না। জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ৯ জন প্রসূতি সফলভাবে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, এবং সকলেই সুস্থ আছেন। তবে, ৫টি শিশুর ওজন কম থাকায় (প্রায় দেড় কেজি করে), তাদের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে। ১৮টি নবজাতকের মধ্যে ১১টি কন্যাসন্তান রয়েছে।