দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বায়ুর মান সূচকের ক্রমশ অবনতি ঘটছে। রবিবারের মধ্যে তা ‘খুব খারাপ’ অবস্থায় পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করেছে সেন্টার ফর এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (SAFAR)। বৃহস্পতিবার দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ২৮৫, যা আগের দিনের ২৩০-এর তুলনায় বেড়েছে, বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড।
এসএএফএআর-এর মতে, “শনিবার পর্যন্ত বায়ু মান ‘খারাপ’ পর্যায়ে থাকবে এবং রবিবার তা ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছাবে। বায়ুতে দূষণকারী উপাদান দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়ার জন্য আবহাওয়ার অবস্থা অত্যন্ত প্রতিকূল এবং খড় পোড়ানোর ঘটনায় অতিরিক্ত নির্গমনের কারণে বায়ুর মান উল্লেখযোগ্য ভাবে খারাপ হতে পারে।”
দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি ইতিমধ্যেই সমস্ত ধরনের আতশবাজির উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিক্রি এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে, যা জানুয়ারি ১ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে বায়ু দূষণ মোকাবিলার জন্য পর্যায়ক্রমিক ব্যবস্থা (Graded Response Action Plan) চালু করেছে এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট কমিশন।
এ দিকে, শীতকালে বায়ু দূষণ বৃদ্ধিতে খড় পোড়ানোর সমস্যা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বুধবার সুপ্রিম কোর্ট পঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে।
১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত পঞ্জাবে ১,২১২টি খড় পোড়ানোর ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে রিপোর্ট করা ১,৩৮৮ ঘটনার তুলনায় কম। যদিও ৭ অক্টোবর পর্যন্ত রেকর্ড করা ৩০০টি ঘটনার তুলনায় এটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। এই তথ্য প্রদান করেছে CREAMS-Indian Agricultural Research Institute, যারা উপগ্রহের মাধ্যমে খড় পোড়ানোর তথ্য সংগ্রহ করে।
বলে রাখা ভালো, খড় পোড়ানো হল ফসল কাটার পর মাঠ পরিষ্কার করতে অবশিষ্ট খড় এবং ফসলের ডাঁটা পুড়িয়ে ফেলার প্রথা। এটি শীতকালীন চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয়।
একই সঙ্গে উল্লেখ্য, বায়ু মানের ক্যাটাগরিগুলি ছয়টি ভাগে বিভক্ত — ভালো (০-৫০), সন্তোষজনক (৫১-১০০), মধ্যম (১০১-২০০), খারাপ (২০১-৩০০), খুব খারাপ (৩০১-৪০০) এবং গুরুতর (৪০১-৫০০)।