বাংলার ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৩ নভেম্বর এই ছ’টি আসনে এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে। আসনগুলি হল হাড়োয়া, সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, মেদিনীপুর এবং তালড্যাংড়া। উল্লেখযোগ্য যে, এই আসনগুলির বিধায়করা গত লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ হয়েছেন।
হাড়োয়া আসনের বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম বসিরহাটের সাংসদ হন, তবে তাঁর সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে। ফলে হাড়োয়াতে উপনির্বাচন হলেও বসিরহাট লোকসভা আসনে এই দফায় উপনির্বাচন হচ্ছে না। মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা লোকসভায় জিতে যাওয়ায় সেই আসনেও উপনির্বাচন হবে। তৃণমূলের জগদীশচন্দ্র বর্মা বাসুনিয়া কোচবিহারের সিতাই আসন ছেড়ে সাংসদ হয়েছেন, আর নৈহাটি, মেদিনীপুর ও তালড্যাংড়া আসনগুলিও শূন্য হয়েছে যথাক্রমে পার্থ ভৌমিক, জুন মালিয়া এবং অরূপ চক্রবর্তীর সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডে ১৩ এবং ২০ নভেম্বর দুই দফায় ভোটগ্রহণ হবে এবং মহারাষ্ট্রে এক দফায় ভোট হবে ২০ নভেম্বর। তবে বাংলার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৩ নভেম্বর, এবং সব আসনের ভোট গণনা করা হবে ২৩ নভেম্বর।
মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা, জেনে নিন পূর্ণাঙ্গ নির্ঘণ্ট
এর পাশাপাশি, দেশের ১৫টি রাজ্যের ৪৮টি বিধানসভা আসন এবং মহারাষ্ট্র ও কেরলের দু’টি লোকসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। মহারাষ্ট্রের নান্দেড় আসনে কংগ্রেস সাংসদ বসন্তরাও চবনের মৃত্যু এবং কেরলের ওয়েনাড় আসনে রাহুল গান্ধীর আসন ছেড়ে দেওয়ার ফলে এই লোকসভা আসনগুলিতে উপনির্বাচন হবে।
উত্তরপ্রদেশের ন’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কারণে এই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ হবে, এরপর রাজস্থানে সাতটি এবং পশ্চিমবঙ্গে ছ’টি আসনে নির্বাচন হবে। বাংলায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৫ অক্টোবর, ফলে রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থী ঘোষণার জন্য সময় খুবই সীমিত।