সাংবাদিক বৈঠক করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ জানাল নবান্ন অভিযানে, চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোনও প্ররোচনায় পা দেয়নি। শান্তিপূর্ণ ভাবে মোকাবিলা করেছে গোটা পরিস্থিতির।
এদিন নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে হাওড়া-সহ মধ্য কলকাতা। আরজি কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে’র নেতৃত্বে নবান্ন অভিযান শুরু হলেও তা দ্রুতই বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। পুলিশের বাধার মুখে আন্দোলনকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ, যার ফলে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ২২০ জনকে। এদের মধ্যে কলকাতা পুলিশ ১২৬ জনকে এবং রাজ্য পুলিশ ৯৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
সন্ধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, নবান্ন অভিযানে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি এবং এই আন্দোলন পরিকল্পিত ছিল। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, “এই আন্দোলন কখনও বাংলার প্রকৃত ছাত্র সমাজের হতে পারে না। এটি দুষ্কৃতীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল যে, সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে প্ররোচনা দেওয়া হবে।”
আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার। কিন্তু পুলিশের মতে, আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল না। ব্যারিকেড ভেঙে, ইট-পাটকেল ছুড়ে অশান্তি পাকানো চেষ্টা করা হয়। পুলিশের দিকে বোতল ছোঁড়া হয়। পুলিশের তরফে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করা হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। কিছু জায়গায় লাঠিচার্জও করা হয়।
বুধবার ১২ ঘণ্টা বন্ধ ডাকল বিজেপি, জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বলল নবান্ন
নবান্ন অভিযানে ১৫ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রতিম সরকার। এছাড়াও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ পুলিশের। পুলিশের মতে, অভিযানের নেপথ্যে চক্রান্ত ছিল এবং তার প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে।
যদি আন্দোলকারীদের দাবি, তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। পুলিশই তাদের হঠিয়ে দেওয়ার জন্য জল কামান, কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার করা করেছে। এমন কী লাঠিচার্জও করেছে।