বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব এবং নাগরিকত্ব প্রশ্নে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ফের তীব্র কটাক্ষ আদালতে। কলকাতা হাই কোর্টে চলা এক মামলার শুনানিতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে প্রশ্ন তোলে—বাংলায় কথা বললেই কী সন্দেহ? এর পরেই বিচারপতিরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নাগরিকত্ব নির্ধারণের প্রক্রিয়া, কারা আটক হয়েছেন এবং কত জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে—এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য হলফনামা আকারে জানাতে হবে কেন্দ্রকে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ। তাই যথাযথ তথ্য আদালতের সামনে পেশ না করলে ভবিষ্যতে কোনও নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছে আদালত। সেই কারণে আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে, এবং এই মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ৪ অগস্ট।
মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাংলাভাষীদের হেনস্থা করা হচ্ছে, তাঁদের সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। দিল্লি হাই কোর্টে যদি একই মামলা বিচারাধীনও থাকে, মূল প্রশ্ন হল কে ভারতীয় নাগরিক এবং কে নন, সেটা কীভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে?” কেন্দ্রের আইনজীবীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে কল্যাণ কটাক্ষ করেন, “এর পরে হয়তো দ্বিবেদী এবং ত্রিবেদীরাই থাকবে। আমাদের বলা হবে চলে যেতে।”
বিচারপতিরা মামলাকারীর আইনজীবীকেও ভর্ৎসনা করেন। নির্দেশ দেন, সমস্ত বক্তব্য লিখিতভাবে হলফনামা দিয়ে জমা দিতে হবে। কারণ শুধুমাত্র মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির ছড়াছড়ি দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরবঙ্গে কমছে বর্ষা – কপালে ভাঁজ কৃষকদের