বারাসত আদালতের নির্দেশে নিষিদ্ধ হল প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও আইএএস অফিসার দীপক ঘোষের লেখা বিতর্কিত বই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদার সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ‘অপমানজনক’ মন্তব্য থাকার অভিযোগে বইটির প্রকাশনা, বিক্রয়, বিতরণ এবং প্রচারে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
মঙ্গলবার বারাসতের ফার্স্ট সিভিল কোর্টের বিচারক বইটির উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে আদালত জানিয়েছে। বইটিকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পুত্র বৈদ্যনাথ ঘোষ দস্তিদার বলেন, “আমার মা ও বাবাকে নিয়ে যে ভাষায় লেখা হয়েছে, তা একেবারে মানহানিকর। আমরা আদালতের দ্বারস্থ হই। আলিপুর ও বারাসতে দুটি মামলা দায়ের করি। মঙ্গলবার বারাসত আদালত বইটির প্রকাশ ও প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।”
তিনি আরও জানান, কেবল লেখক নন, বইটির প্রকাশক এবং পরিবেশকের বিরুদ্ধেও আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি এই মামলায় উচ্চ আদালতের দারস্থও হবেন তারা।
উল্লেখ্য, দীপক ঘোষ একজন প্রাক্তন আইএএস অফিসার। অবসর গ্রহণের পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে মহিষাদল থেকে বিধায়ক হন। পরবর্তীতে যাদবপুর ও মেদিনীপুর থেকে লড়াই করলেও তিনি জয়ী হননি। পরবর্তীকালে দল ও নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর। সেই অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করেই তিনি বইটি লেখেন।
তাঁর লেখা এই বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে একাধিক বার বিরোধী নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। তৃণমূলের তরফে আগে থেকেই এই বইকে ঘিরে বিরক্তি প্রকাশ করা হয়েছিল এবং মুকুল রায়ের তরফে মানহানির মামলা করা হয়েছিল। তবে সেই মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি।
আরও পড়ুন: পাড়ায় পাড়ায় ছোট সমস্যার সমাধানে ‘বুথ ক্যাম্প’, ভোটের মুখে নতুন সরকারি কর্মসূচি মমতার