শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় আশঙ্কার তুলনায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবরও নেই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে থেকে সারারাত নজর রেখেছিলেন। ‘দানা’র ল্যান্ডফল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শুরু হয়, ভোর পর্যন্ত চলতে থাকা প্রক্রিয়াটি এখন সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে রাজ্যে তেমন বড় ধরনের ক্ষতির খবর নেই, যা প্রশাসনকে স্বস্তি দিয়েছে।
উপকূলবর্তী জেলাগুলির পরিস্থিতি
বিশেষত, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, যেগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কায় ছিল, সেখানে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও আসেনি। যদিও দিঘা, শঙ্করপুর, এবং তাজপুর এলাকায় ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া চলছে, তবে সমুদ্রের উত্তাল পরিস্থিতিও অনেকটা কমে এসেছে। প্রশাসনের আগাম প্রস্তুতির ফলে অনেক মানুষকে আগে থেকেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যা ক্ষতি এড়াতে সাহায্য করেছে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
শুক্রবার ভোর থেকে কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং দিনভর এই বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং অন্যান্য কিছু জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছে।
ঝড়ের গতি এবং বর্তমান অবস্থা
‘দানা’র ল্যান্ডফল চলাকালীন ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, তবে ল্যান্ডফল শেষে গতি কমে গেছে। একসময় উপকূল এলাকায় ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছিল। এখন শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে, যা বিকেলের মধ্যে আরও দুর্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।