কলকাতা: ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারের নীচে অবস্থান করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। সেই আন্দোলনের ১০০তম দিন ছিল শনিবার। এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে শুরু হয় ‘মহামিছিল’। যা ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।
হাজরা মোড় থেকে শুরু হয়ে মিছিল হরিশ মুখার্জি রোড ধরে এগিয়ে আবার হাজরা মোড়ে ফিরে আসে। মিছিল যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের পাড়া এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে।
মিছিলের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। অভিষেকের বাড়ির সামনে মিছিল থেকে ওঠে ‘চোর-চোর’ স্লোগান। তবে মিছিল ঘিরে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। মিছিল শেষে হাজরা মোড়ে সভা হয়। কর্মসূচি শেষ হয় বিকেল ৪টেয়।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, হাজরা মোড়ের পথসভায় বক্তৃতা করেন বাম-কংগ্রেস-বিজেপি নেতারা। তালিকায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, কৌস্তভ বাগচী, আবদুল মান্নান, সৃজন ভট্টাচার্যরা।
হাজরায় ডিএ আন্দোলন মঞ্চে যোগ দেন একদা মমতার ছায়াসঙ্গী সোনালি গুহ। যা নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, “ওটা ডিএ মিছিল নয়, বিরোধী দলগুলির অতৃপ্ত আত্মাদের রাজনৈতিক সমাবেশ।”
প্রসঙ্গত, আন্দোলনের একশোতম দিনে মিছিলের অনুমতি মিললেও হরিশ মুখার্জি রোডে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছিল না পুলিশ। কিন্তু, মিছিল হবে সেই জায়গাতেই। অনুমতি পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। কয়েকদিন আগেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সেই অনুমতি দিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: কর্মীর অভাবে বহু গ্রন্থাগার বন্ধ, খোলার আশ্বাস মন্ত্রীর