উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: থরে থরে সাজানো আছে বই কিন্তু কর্মী নেই। একের পর এক বন্ধ হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গায় থাকা গ্রন্থাগারগুলি। জানা গিয়েছে, কর্মীর অভাবে বহু গ্রন্থাগার বন্ধ। খোলার আশ্বাস মন্ত্রীর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর, মজিলপুর, দক্ষিণ বারাসাত বহরু, গোচরন, ময়দা, নিমপীঠ এই সমস্ত অঞ্চলে গ্রন্থাগারগুলি তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। গ্রন্থাগার রয়েছে তার মধ্যে থরে থরে বইও সাজানো রয়েছে। কিন্তু পাঠকের জন্য সেই গ্রন্থাগার আর নিয়মিত খোলা হয় না। যার ফলে বইপ্রেমীরা বইয়ের খোঁজে গিয়ে গ্রন্থাগার বন্ধ দেখে খালি হাতেই ফিরে আসছে।
দক্ষিণ বারাসাতে দীর্ঘদিন ধরে বহু অতি প্রাচীন হিতোষিনী পাঠাগার রয়েছে। বহু পাঠক এই পাঠাগারে প্রতিনিয়ত রোজ পাঠক আসতেন। একই অবস্থা বহড়ু শ্যামসুন্দর লাইব্রেরি, জয়নগর বান্ধব লাইব্রেরি, শিবনাথ শাস্ত্রী পাঠাগার-সহ আরো অনেক। একে একে এই পাঠাগারের কর্মী অবসর নিয়েছেন, তারপর থেকে গ্রন্থাগারের তালা মারা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে কর্মী সংকটের কারণে রীতিমতো জেলার বহু গ্রন্থাগার বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যদিও এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক পাঠক বলেন, বহুবার গ্রন্থাগার দফতরে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। আমরা চাই আগের মত ভাবে গ্রন্থাগারগুলি খোলা হোক। আর এই বন্ধের কারণে পাঠকের কম সংখ্যা অনেক কমে গেছে আগের মতো আর মানুষ সেভাবে গ্রন্থাগারের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে না। মানুষ আস্তে আস্তে গ্রন্থাগারের কথা খুলতে শুরু করেছে। যতই মোবাইল টিভি আসুক না কেন বই পড়ার মধ্যে হাত একটা অনুভূতি থাকে অনেক কিছু শেখার আছে বইয়ের মধ্যে থেকে।
যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস বলেন, “আমি জয়ী হওয়ার পর স্থানীয় গ্রন্থাগারে বেশ কিছু বই দিয়েছিলাম তবে সেভাবে আর পাঠক দেখা যায় না তবে গ্রন্থাগারগুলি খোলার জন্য প্রস্তুতি চলছে”।
এ বিষয়ে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “কর্মী নিয়োগ চলছে। খুব শ্রীঘ্রই আবার গ্রন্থাগারগুলো আবার খুলবে”।