এখনও যা করে দেখাতে পারেনি দেশের অন্য কোনও চিড়িয়াখানা, তা-ই করে দেখিয়ে দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান চিড়িয়াখানার সাফল্যের মুকুটে যোগ হল নয়া পালক। দেশের মধ্যে প্রথম বায়োব্যাঙ্ক ফেসিলিটি ও পশুদের মিউজিয়াম তৈরি করে নজির তৈরি করেছে দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক
কেন্দ্রীয় জু অথরিটির অধীন কনসোর্টিয়াম অফ জুস অ্যান্ড বায়ো ব্যাঙ্কিংয়ের অধীনে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় এই বায়োব্যাঙ্ক ও মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে। প্রাণীদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, প্রাণীদের মিউটেশনের কারণ ও প্রভাব, জীববৈচিত্র্য-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করার জন্য এই বায়োব্যাঙ্কে বিলুপ্তপ্রায় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতির প্রাণীদের ডিএনএ, জিনোম, গ্যামেটের মতো অংশের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি মৃত প্রাণীদের শরীর ও কঙ্কাল সংরক্ষণ করা হবে ওই মিউজিয়ামে।
দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর বাসবরাজ হোলেইয়াচি বলেন, “কেন্দ্রীয় জু অথরিটির কনসোর্টিয়াম অফ জুয়ের অনুমোদনে রাজ্য বন দফতরের সহযোগিতা ও জু অথরিটির গাইডলাইন মেনে এই বায়োব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। দেশের প্রথম কোনও চিড়িয়াখানায় এই বায়োব্যাংক ও মিউজিয়াম তৈরি করা হল। এই বায়োব্যাঙ্কে বিভিন্ন প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে রাখা হবে, যা আগামী দিনে নানা গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।”
দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় বিলুপ্তপ্রায় শিডিউল ওয়ান প্রজাতির ১৯টি প্রাণী রয়েছে। এদের মধ্যে রেড পান্ডা, স্নো লেপার্ড, সাইবেরিয়ান টাইগার ও মিশমি টাকিনের মতো প্রাণী রয়েছে। সেই সব প্রাণীর ডিএনএ, জিনোম ও গ্যামেট ইতিমধ্যে সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বায়োব্যাঙ্কে অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত নমুনা সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। প্রথম পর্যায়ে ৯টি প্রজাতির প্রায় ২০টি নমুনা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি মিউজিয়ামেও পাহাড়ি বিভিন্ন প্রজাতির দেহাংশ ও কঙ্কাল সংরক্ষণ করা হয়েছে। পর্যটকদের জন্যও ওই মিউজিয়ামটি খুলে দেওয়া হয়েছে।