বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপ চলবে না, এমনটাই স্পষ্ট জানালেন রাজ্যের পুলিশ ডিজি রাজীব কুমার। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গিদমনে পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতা পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয়। আমরা নিঃশব্দে কাজ করছি, যাতে রাজ্যের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারেন।’’
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে কাশ্মীরের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজীব কুমার জানান, ‘‘এই জঙ্গিকে ধরার পিছনে আমাদের বিশেষ টিমের তৎপরতা ছিল। কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে আমরা সমন্বয় রেখে কাজ করেছি। জঙ্গিদমনে আমাদের রেকর্ড অতীতেও ভাল ছিল এবং ভবিষ্যতেও তা বজায় থাকবে।’’
রাজ্যের সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে বিএসএফের খামতির দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। যদিও সীমান্তরক্ষার দায়িত্ব বিএসএফের, তবুও রাজ্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের আমরা গ্রেফতার করছি এবং সঠিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
পাশাপাশি, জঙ্গিদের গতিবিধি ট্র্যাক করতে এবং অনুপ্রবেশ রোধে পুলিশের তৎপরতার কথাও জানান ডিজি। তিনি বলেন, ‘‘বাংলার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জঙ্গি সংগঠনগুলি আমাদের রাজ্যকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করে। তবে আমরা তা প্রতিরোধ করছি। জাল পাসপোর্ট এবং সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ রুখতে থানাগুলির পুলিশ সুপারদের আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে বলা হয়েছে।’’
ডিজি আরও বলেন, ‘‘আমাদের এই সাফল্যের কারণ হল মানুষের সহযোগিতা। আমরা যেমন মানুষের জন্য কাজ করছি, তেমনই মানুষও আমাদের সহায়তা করছেন। আমরা রাজ্যের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’’
অনেকে আশঙ্কা করছেন, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত ব্যবহার করে জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়ানো হচ্ছে। তবে ডিজি রাজীব কুমার আশ্বাস দিয়েছেন, ‘‘আমাদের উপর ভরসা রাখুন। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি, নিঃশব্দে।’’


 
                                    