শ্রয়ণ সেন
মহালয়া এবং দেবীপক্ষের প্রথম দুদিন পশ্চিমবঙ্গের দুই প্রান্তে দুই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে টুকটাক বৃষ্টি, মোটের ওপরে ঠিকঠাক আবহাওয়া, মাঝেমধ্যেই রোদের দর্শন পাওয়া। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
দেবীপক্ষের সময় যত এগোবে, অর্থাৎ যত আমরা পুজোর দিকে যাবো, তখন আবহাওয়া কেমন থাকবে সেটা এখনো বলা কিছুটা সমস্যার। তাও বলার চেষ্টা করি।
সবকিছু নির্ভর করবে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলা নিম্নচাপ ও তার গতিপ্রকৃতির ওপরে।
নিম্নচাপটি ওড়িশা উপকূলে তৈরি হতে পারে। তারপর সেটি দুটো পথ নিতে পারে।
- পশ্চিমে এগোনো অর্থাৎ ওড়িশা থেকে ছত্তিশগড় হয়ে মহারাষ্ট্র।
- উত্তরপশ্চিম দিকে এগোনো। অর্থাৎ ওড়িশা থেকে ঝাড়খণ্ড ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ দিল্লি হয়ে উত্তরাখণ্ড।
যদি ১ নম্বর পথ অনুসরণ করে তাহলে ২৩ তারিখের পর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির আনাগোনা বাড়লেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে না।
যদি ২ নম্বর পথ অনুসরণ করে তো ২৩ তারিখের পর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। আর সে ক্ষেত্রে পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় অতিবৃষ্টিও হতে পারে।
তবে আপাতত মনে হচ্ছে এই বৃষ্টির ভ্রুকুটি পুজো শুরুর দিনগুলোতে বেশি পড়বে। অষ্টমী থেকে বৃষ্টির দাপট কমবে বলে আশা করা যায়।
উত্তরবঙ্গে পুজোর মধ্যে খুব ভারী বৃষ্টির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। যেমন স্বাভাবিক কখনও রোদ কখনও বৃষ্টির পরিস্থিতি হয়, তেমনই থাকবে।
সংক্ষেপে বলা যায় যে, পুজোর মধ্যে ওই নিম্নচাপের গতিপ্রকৃতি মূলত পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো জেলায় এবং ঝাড়খণ্ডে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। বাকি রাজ্যে দুর্যোগের কোনো আশঙ্কা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
আজকের পরিস্থিতি বিচার করে এই পূর্বাভাস দেওয়া গেল। আবহাওয়া সব সময় পরিবর্তনশীল। সুতরাং এই পূর্বাভাস বদলাতেই পারে
উত্তর ভারতে বৃষ্টি কার্যত থেমেই যাবে। হিমাচল, কাশ্মীরের মতো পাহাড়ে ২৫ তারিখের পর বৃষ্টি প্রায় হবে না। তবে উত্তরাখণ্ডে আরো কিছুদিন ভারী বৃষ্টি চলতে পারে।