বাংলার অন্যতম ভালো রোজগারপাতি হয় এমন চাষ হল ফুলচাষ। পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া-সহ গোটা রাজ্যেই বিভিন্ন জায়গার মানুষ ফুলচাষের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য সরকারের হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট ২টি ফ্লোরিকালচার সেন্টার ফর এক্সলেন্স বা বিশেষ কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা করেছে। একটি কেন্দ্র হবে নদিয়ায় আরেকটি কেন্দ্র হবে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জেলায়। এর জন্য ২০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে নদিয়ার আয়েশপুরে আর দার্জিলিংয়ের মংপুতে।
চাষীরা বিভিন্ন রকমের প্রজাতির ফুল চাষ করলেও অনেক সময় তাঁরা চাষের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। কোন রকমের ফুলের জন্য কোন রকমের সার ব্যবহার করা উচিত, কীভাবে বীজ বপন করতে হবে, এসব বিষয় অনেক সময় তাঁদের জ্ঞান থাকে সীমাবদ্ধ। পর্যাপ্ত ফুল চাষ না হলে বিদেশে রফতানি মার খায়। তাই নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ফুলচাষ নিয়ে বিভিন্ন রকমের গবেষণা চালানো হবে এই ২ বিশেষ কেন্দ্রে।

ফুলচাষীদের বিভিন্ন আধুনিক পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। রাজ্যে ফুলচাষে এগিয়ে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলা। কিন্তু বিশেষ কেন্দ্র গড়তে জমি থাকার কারণে নদিয়া ও দার্জিলিংকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যর বিভিন্ন প্রান্তের ফুলচাষীরাই এখানে এসে ফুল চাষে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
এই ২ বিশেষ কেন্দ্রে চাষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কীভাবে ফুল থেকে পারফিউম, সুগন্ধি তেল তৈরি করা যায়। চলতি মাসেই নেদারল্যান্ডস থেকে বিশেষজ্ঞরা এসে প্রাকৃতিক পরিবেশ, মাটি, আবহাওয়া কেমন রয়েছে তা দেখে কীভাবে ফুল চাষের উৎপাদন বাড়ানো যায় তার পরামর্শ দেবেন। পরিকাঠামো ও যন্ত্রপাতি নিয়েও নিজেদের মতামত জানাবেন