বারুইপুরের পুলিশ সুপারের দফতরের বাইরে বিজেপির বিক্ষোভের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি মিলেছে একাধিক শর্তসাপেক্ষে।
বুধবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকায় মিছিল করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। মিছিল না করেই ফিরতে হয় তাঁকে। এরপরই পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাওয়ের ডাক দেয় বিজেপি। কিন্তু অনুমতি না মেলায় হাই কোর্টে মামলা করা হয়।
আদালতে বিজেপির আইনজীবী দাবি করেন, পুলিশের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও আগের কর্মসূচিতে হামলা হয়েছিল। বিচারপতি অনুমতি দিলেও নির্দেশ দেন, এক হাজারের বেশি সমর্থক অংশ নিতে পারবেন না, হাসপাতালের কাছে মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে, এবং সর্বাধিক ২৫টি মাইক ব্যবহার করা যাবে।
প্রসঙ্গত, বিজেপি বিধায়কদের কণ্ঠরোধের অভিযোগে বুধবার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে, মিছিল ও সভা করার ডাক দেন শুভেন্দু অধিকারী। কথা ছিল,পুরাতন বাজার রাসমাঠ থেকে, বারুইপুর মহকুমা শাসকের অফিস পর্যন্ত মিছিল করবেন তিনি। এই রাস্তাতেই দুই জায়গায় মঞ্চ বাঁধে তৃণমূল। রাস্তার দু’ধার কার্যত ঘিরে ফেলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বেলা ৪টের কিছু পরেই এই এলাকায় ঢোকেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা।
এরপরই তাঁর গাড়ি ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ । স্লোগান ওঠে। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, তাঁর গাড়িটি অ্যাডিশনাল এসপি বারুইপুর চিহ্নিত করে দিয়েছেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে খারাপ গালি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন। সেদিন দুপক্ষের স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেদিনের ঘটনার প্রতিবাদে ২৭ মার্চ বারুইপুর পুলিশ সুপারের অফিস অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি।