ভাদ্র মাসের সংক্রান্তি মানেই বাংলার ঘরে ঘরে অরন্ধন ব্রত পালনের রীতি। আর এই ব্রতের অন্যতম উপকরণ হলো ইলিশ মাছ। এই সময়ে বাঙালির পাতে ইলিশ না থাকলে উৎসবের মেজাজই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এবছর আবহাওয়ার প্রভাবের কারণে বাজারে ইলিশের জোগানে বড় ধরনের ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনাজুড়ে গত তিন দিন ধরে নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টি চলছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় মাছ ধরার ট্রলারগুলি সমুদ্রে নামতে পারছে না।
কাকদ্বীপ ও ডায়মন্ড হারবারে লাগাতার বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে মৎস্যজীবীরা বিগত তিন দিন ধরে সমুদ্রে যেতে পারেননি। এর ফলে ইলিশ ধরার মরসুমেও তাঁরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। অরন্ধন ব্রতের পাশাপাশি আসন্ন বিশ্বকর্মা পুজোতেও ইলিশের চাহিদা তুঙ্গে থাকবে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইলিশের জোগান কম হওয়ায় দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ট্রাকমালিকদের ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট, বাড়তে পারে ডিম, মাছ, আনাজের দাম
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে প্রায় সব জেলাতেই। এই বৃষ্টিপাতের কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা আপাতত বহাল থাকবে। এর ফলে ইলিশের ঘাটতি এবং দাম বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ইলিশের চাহিদা ও সরবরাহের এই বৈষম্য ভোজন রসিক বাঙালির জন্য একটি বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। অরন্ধন উৎসবে ইলিশের জন্য অনেককেই উচ্চমূল্যে মাছ কিনতে হতে পারে।
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us