Home রাজ্য হাওড়া জমিদখল ও নাগরিক পরিষেবা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর, ধুয়ে দিলেন...

জমিদখল ও নাগরিক পরিষেবা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর, ধুয়ে দিলেন মন্ত্রী, আমলা, পুলিশকে

জমিদখল ও নাগরিক পরিষেবা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

নবান্ন সভাঘরে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের নাগরিক পরিষেবা নিয়ে তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেন। রাস্তায় জমা জল থেকে নোংরা পরিষ্কারে অবহেলা, সরকারি জমি দখল, পথবাতির দেখভালের অভাব নিয়ে তিনি কঠোর সমালোচনা করেন।

কলকাতা ও হাওড়ার রাস্তার অবস্থার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এবার কি আমাকে রাস্তা ঝাঁট দিতে বেরোতে হবে? শুধুমাত্র ট্যাক্স বাড়ানো আর লোক বসানোর কাজ করলে হবে না, নিচের দিকেও নজর দিতে হবে।”

মুখ্যমন্ত্রী হাওড়া পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী ও এসডিও অমৃতা রায় বর্মণের কাজের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, “কোথাও আলো জ্বলছে তো জ্বলছেই, কোথাও কল থেকে জল পড়ছে তো পড়ছেই। টাকার বিনিময়ে জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কিছু লোকজন অবৈধ জমি দখল করছেন।”

আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে গেল বাংলায় ব্রিটানিয়ার একমাত্র কারখানা, অথৈ জলে অস্থায়ী কর্মীরা

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “এবার থেকে জমি বণ্টন এবং অন্যান্য কাজের টেন্ডার স্থানীয় প্রশাসন দিয়ে পরিচালনা করা হবে না। এজন্য একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হবে।”

ফুটপাথ দখল করে অস্থায়ী দোকান বসানো নিয়েও তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন এবং পুলিশকেও ভর্ৎসনা করেন। তিনি বলেন, “অবৈধভাবে দোকান বসানো হচ্ছে, অথচ কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কেন বাইরের লোক বসবেন এখানে?”

ফুটপাথ দখল করে অস্থায়ী দোকান বসানো নিয়েও তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন এবং পুলিশকেও ভর্ৎসনা করেন। তিনি বলেন, “হাতিবাগানে কখনও তাকিয়ে দেখেছেন? কী অবস্থা ওখানে। গড়িয়াহাটে হকার বসিয়েছেন। ওয়েবেলের সামনের রাস্তায় একের পর এক দোকান বসিয়েছে। দেখতে ভাল লাগছে?” তিনি মন্ত্রী সুজিত বসুর উদ্দেশে বলেন, “রাজারহাটে সুজিত লোক বসাচ্ছে কম্পিটিশন করে।”

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অবৈধভাবে দোকান বসানো হচ্ছে, অথচ কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কেন বাইরের লোক বসবেন এখানে? একটা করে ত্রিপল লাগাচ্ছে, এক জন করে বসে পড়ছে।” মমতা প্রশ্ন তোলেন, দিঘা এবং হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি থাকার প্রয়োজনীয়তা কী। “সেখানে তো পুরসভা আছে। লাভটা কী? এভাবে চলতে পারে না।”

মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এই তীব্র সমালোচনা প্রশাসনিক কর্তাদের কাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, বরং জনগণের পরিষেবা উন্নত করার আহ্বান জানান।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version