তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণার পরেই দলীয় মুখ্যসচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রবীণ এই সাংসদ।
কল্যাণ জানান, অভিষেক তাঁকে ফোন করে ৭ অগস্ট দিল্লিতে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন এবং তাঁর সমস্ত ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুনবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। সেইসঙ্গে অভিষেক তাঁকে অনুরোধ করেছেন, অন্তত আরও তিন-চার দিন লোকসভায় মুখ্যসচেতকের দায়িত্ব সামলাতে।
তবে তার আগেই স্পষ্ট করে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন কল্যাণ। তাঁর অভিযোগ, লোকসভায় সমন্বয় ঠিকমতো না হওয়ার জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর দিকেই আঙুল তুলেছেন। সেই কারণেই তিনি পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কল্যাণ বলেন, “মমতাদি অভিযোগ করেছেন লোকসভায় সমন্বয় ঠিক মতো হচ্ছে না। তাহলে তো অভিযোগ আমার দিকেই। তাই আমি নিজেই পদ ছাড়লাম।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “দিদি বলছেন আমি ঝগড়া করছি। কিন্তু যারা আমাকে গালাগাল দেয়, তাদের আমি সহ্য করব কেন? দলের কাছে জানিয়েছি, উল্টে আমাকেই দায়ী করা হচ্ছে।”
তাঁর ইঙ্গিত স্পষ্ট—দলের অভ্যন্তরে তাঁকে ঘিরে একাধিক বিষয় নিয়ে অসন্তোষ জমে রয়েছে। বিশেষত, কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতাশ কল্যাণ।
লোকসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানকে ঘিরে দলের সাংসদদের অভ্যন্তরীণ অবস্থান যে পাল্টাচ্ছে, এ দিনের ঘটনাক্রম তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল।